নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): যদিও আমরা এখন চালে উদ্বৃত্ত। তারপরও ধানের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। একদিকে দেশে জমি কমছে, অন্যদিকে যোগ হচ্ছে মানুষ। তাই অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন আউশের আবাদ বাড়ানো, আমনে দরকার জাত পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন কারণে দক্ষিণাঞ্চলে কৃষকরা আমন মৌসুমে স্থানীয় জাত ব্যবহার করেন। এতে ফলন কম হয়। আমাদের বিজ্ঞানীরা অনুরূপ বৈশিষ্ট্যে ব্রি ধান৭৬, ব্রি ধান৭৭ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর ফলন স্থানীয় জাতের প্রায় দ্বিগুণ। সে কারণে এ জাত দু’টো কৃষকের মাঝে সম্প্রসারণ করতে হবে। দারিদ্র্যতা থেকে উত্তোরণ হয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা। গম, ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিতকরণে তিনি কৃষি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, ডিএই উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, রাজাপুরের কৃষি অফিসার রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর, কাঠালিয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ডিএই, ব্রি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএডিসি, বিএসআরআই’র বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি উত্তর শুক্তাগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ব্রি ধান৭৭ জাতের শস্য কর্তন উপলক্ষে এক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।