এম.এম আব্দুর রাজ্জাক (খুলনা): কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বাগেরহাট জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ধীন সকল সংস্থার কর্মকর্তদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমাদেরকে কৃষকের মন পড়ার উপযোগী হতে হবে। একই ফসল বেশি উৎপাদন না করে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনের পরামর্শ দিলে কৃষক ভালো বাজার মূল্য পাব। দেশেরে সকল এলাকার কৃষককে গ্রুপে ভাগ করে রাজস্ব র্অথে প্রদর্শনী দেয়া হবে। তিনি শনিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাগেরহাট খামারবাড়ির সম্মেলন কক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলা কৃষি অফিসার এবং জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলনে।
ডিএই খুলনা আঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান এতে সভাপতিত্ব করনে। সচিব বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে এজন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাতের আবাদ বাড়াতে হবে। তিনি আউশ মৌসুমে সারাদেশে আরো ১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষিবিদদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদেরকে ৩ লক্ষ অতিরিক্ত মানুষের জন্য চাল উৎপাদন করতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার ফসল ভূট্টা চাষের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ বছর ৩৮ লক্ষ মে.টন ভূট্টা উৎপাদিত হয়েছে। এ উৎপাদনকে ১ কোটি মে.টনে নিয়ে যেতে হবে। ভারপ্রাপ্ত সচবি দক্ষিণাঞ্চলে ঘেরের লিজ প্রসংগে বলেন, লিজ/বর্গা এলাকায় কৃষক যাতে কৃষি কার্ড পায় সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এসব এলাকায় মিঠা পানির ফ্লো বাড়িয়ে উৎপাদন বাড়াতে জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, এক জাতীয় সব্জির আবাদ না করে বিভিন্ন জাতের সব্জির আবাদ ও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা করতে পারলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবে। তিনি জলাবদ্ধ এলাকায় ঘেরের পানি ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মতবিনিময় সভায় ডিএই বাগেরহাট এর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি অফিসারবৃন্দ, বিএডিসি, এআইএস, উদ্ভিদ সংগ নিরোধ কেন্দ্র মংলা, এসসিএ, এসআডিআই, বারি, ব্রি, বিনাসহ অন্যান্য সংস্থার ১৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।