নাহিদ বিন রফিক( বরিশাল): দক্ষিণাঞ্চলে আউশ ধানের ওপর আরো গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। আমনের অবস্থান ভালো। তবে স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত প্রতিস্থাপন করতে হবে। আর এজন্য দরকার ব্রি ধান৭৬ এবং ব্রি ধান৭৭ জাত ব্যবহার। সে সাথে ভুট্টার আবাদ বাড়ানোর পাশাপাশি চাই নিরাপদ সবজি উৎপাদন। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) পিরোজপুরের খামারবাড়িস্থ ডিএই সম্মেলনকক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ অঞ্চলে সিডর, আইলাসহ আরো বেশ ক’টি দুর্যোগ এসেছিলো। এতে ভয় পেলে চলবে না। প্রকৃতি যেভাবে খেলবে, তেমনি প্রস্তুত হতে হবে। তাহলেই আমরা প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকতে পারবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু আলিম মো. সাজ্জাদ হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিএই উপ–পরিচালক আবু হেনা মো. জাফর, বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খলিফা শাহ আলম, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন কবীর, নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রিফাত সিকদার, মঠবাড়িয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ইন্দুরকানির উপজেলা কৃষি অফিসার মো. তৌহিদীন ভূইয়া, নাজিরপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার দিগ বিজয় হাজরা প্রমুখ। পরে তিনি ইন্দুরকানির পূর্ব বালিপাড়ায় ব্রি ধান৭৭ জাতের প্রদর্শনীপ্লট প্রত্যক্ষ শেষে এক কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।