নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): স্বাধীনের আগে ৭ কোটির ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিতে থেকেও খাদ্যশস্যের অর্জন অনেক কম ছিলো। এখন ১৬ কোটির মধ্যে ৪০ ভাগে নেমে গেলেও উৎপাদন হচ্ছে কাঙ্খিত। আর তা সম্ভব হয়েছে উন্নত জাতের পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে। এতে খরচ কমে, বাড়ে উৎপাদন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বরিশালের উজিরপুরের মুন্ডপাশায় রিপার বাইন্ডারের সাহায্যে ধান কতর্নের ওপর কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলী এসব কথা বলেন।
সিমিট বাংলাদেশ এবং সিসা-এমআই যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-পরিচালক হরিদাস শিকারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ঢালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাকির হোসেন তালুকদার, কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফারজানা আনসারী, প্রশান্ত হাওলাদার, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি নাহিদ বিন রফিক, সিমিট বাংলাদেশের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, প্রদর্শনীচাষি মো. ফজলুল হক প্রমুখ।
সিমিট বাংলাদেশের উদ্যোগে চীন থেকে সদ্য আমদানিকৃত রিপার বাইন্ডার বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আঁটি বাধাসহ ৫ একর জমির ধান কাটা যাবে ৮ ঘন্টায়। মেশিন ভাড়া বাদে খরচ পড়বে মাত্র ১ হাজার টাকা। অথচ সমপরিমাণ জমিতে এ কাজের জন্য ৩০ জন শ্রমিকের ব্যয় হবে ১৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্যসহ দু’শতাধিক কৃষাণ- কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।