নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): কৃষকের জীবনযাত্রার মান এখন অনেক উন্নত। ঘরে ঘরে বইছে উন্নয়নের জোয়ার। সচেতনতাও বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। নতুন নতুন প্রযুক্তি, সুষম সারের পাশাপাশি তারা ব্যবহার করছেন আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। হালের গরুর বদলে ট্রাক্টর। কম উৎপাদনশীল বীজ রেখে উচ্চ ফলনশীল জাত। সময়মতো পরিচর্যা। এসব চিত্র গ্রামে গেলেই চোখে পড়ে। বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী সদরের পক্ষিয়ায় রিপার বাইন্ডারের সাহায্যে ধান কতর্নের ওপর কৃষক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চাষির লাভ মানে রাষ্ট্রের লাভ। তাই এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার। তাহলে আপনারা হবেন সম্পদশালী, দেশও হবে সমৃদ্ধ।
আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) সিসা এমআই প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কৃষক খলিল মৃধা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার সনজীব মৃধা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সিমিট বাংলাদেশের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আতিকুজ্জামান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মুছা আকন প্রমুখ।
সিমিট বাংলাদেশের উদ্যোগে চীন থেকে সদ্য আমদানিকৃত রিপার বাইন্ডার বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আঁটি বাধাসহ ৫ একর জমির ধান কাটা যাবে ৮ ঘন্টায়। মেশিন ভাড়া বাদে খরচ পড়বে মাত্র ১ হাজার টাকা। অথচ সমপরিমাণ জমিতে এ কাজের জন্য ৩০ জন শ্রমিকের ব্যয় হবে ১৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্যসহ শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।