আব্দুর রাজ্জাক (ফরিদপুর): ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে গম বপন করতে হবে এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও সহনশীল জাতের বীজ ব্যবহার, বীজ শোধন, রোপন পরবর্তী পরিচর্যা হিসাবে নির্দিষ্ট সময়ে ২ বার অনুমোদিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাক্ষ্মনকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিমিট বাংলাদেশ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর যৌথ সহযোগিতায় “গমের ব্লাস্ট প্রকল্পের” অধীনে স্থানীয় ডিলার/রিটেইলারদের গমের গুরুত্ব, ব্লাস্ট রোগ ও তার প্রতিকারের ওপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী এসব কথা বলেন। এছাড়াও কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের বহুল ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করেন। এই রুপ ব্যতিক্রমধর্মী প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য সিমিটের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি উন্নয় কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক গম ও ভূট্টা উন্নয়ন কেন্দ্র, ফরিদপুর হাব । অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রাশেদুল ইসলাম, মাঠ সন্ময়কারী, সিসা-এমআই প্রকল্প, সোসাইটি ডেভেলপন্টে কমিটি (এসডিসি)।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিলার/রিটেইলারদের আধুনিক পদ্ধতিতে গম চাষাবাদে গমের গুরুত্ব, নতুন নতুন জাত, বীজ শোধন, গম বপনের সঠিক সময়, গমের ব্লাস্ট রোগ, রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ডিলারগণ তাদের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের কেউ প্রশিক্ষণ দেয় না, কিন্তু সিমিটের মাধ্যমে আজকে যা শিখতে পারলাম তাতে করে ডিলার এবং এলাকার কৃষক উভয়ই উপকৃত হবে।