নিজস্ব সংবাদদাতা: ধনী-গরীব সবাই যাতে মাংস কিনে খেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ফিড ও মাংসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমবার খামারবাড়িস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে পরিদর্শনে এলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা দুধেও স্বয়ম্ভর হয়ে তা বিদেশে রপ্তানি করতে চাই। মন্ত্রণালয়সহ সকল দফতর ও সংস্থায় তিনি কোনো দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি দেখতে চান না বলেও মন্তব্য করেন। পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী অধিদফতরের কর্মচারীদের সকল দ্বন্দ্ব ও বিভেদ ভুলে দেশের জনগণের উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী পরিদর্শনে এলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয় যে, দেশের পশু-পাখিদের রোধপ্রতিরোধের লক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমুহ হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গবাদিপশুর জন্য এক কোটি ৮০ লাখ ডোজ এবং হাঁস-মুরগির জন্য আড়াই কোটি ডোজ টিকা উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ২ কোটি ৮ লাখ গবাদিপশু এবং ১১ কোটি ৯০ লাখ হাঁস-মুরগির চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের আওতায় গরুর জাত উন্নয়নের লক্ষে সারাদেশে প্রতিবছর ৪২ লাখ ডোজের সিমেন সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও দুধের ঘাটতিপূরণে বিশ্বব্যাংকের সাহায্যে ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘Livestock and Dairy Development Project (LDDP)” চলমান রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারিদের মধ্যে ৫% সুদে ২০০ কোটি টাকার ঘুর্ণায়মান তহবিলের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার খামারি এর সুফল ভোগ করেছে। আমিষের পর্যাপ্ত উৎপাদন এবং দেশের জনগণের মাংস, দুধ ও ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অধীনে ২০টি প্রকল্পের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে বলে অধিদপ্তর থেকে অবহিত করা হয় তাঁকে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ড ইমরান হাসান খান, জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর এ এস এম নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।