ঢাকা সংবাদাতা: সার্বিক অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে। কৃষির বিকাশে যারা কাজ করছেন তারা দেশ ও জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই দায়িত্ব মেধা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে পালন করতে হবে। আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান নিয়ামক হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি। নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির জন্য আমাদের সকলকেই আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। বুধবার (১৬ জানুয়ারী) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে এটাই তার প্রথম সভা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রকৃতি নির্ভর একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে যে কোনো সময় দেউলিয়া হওয়ার আশংকা থাকে। বাংলাদেশ দূর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন করে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন আজ বিশ্ব স্বীকৃত। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সকলে মিলে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য এমন কাজ করে যেতে চাই যা অনুকরনীয় হয়ে থাকবে।তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য সারা দেশ ব্যাপী বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ হাজার ৭শত ১২ দশমিক ৬৫ কোটি টাকার মোট ৫১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে আরও ১৯টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে এবং এর মধ্যে ৬টি প্রকল্পের বরাদ্দও পাওয়া গেছে। বৃহৎ বরাদ্দপ্রাপ্ত ২২ টি প্রকল্প যার বরাদ্দ ২৫ কোটি বা তদুর্ধ্ব বাবদ মোট ১ হাজার ৩ শত ৩৩ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক।
সভার সঞ্চলনা করেন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভার সভাপতি কৃষিমন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি করেন।