নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ফল আর্মিওয়ার্ম পোকা কোনো আতঙ্ক নয়, মোকাবেলা করতে হবে সতর্কতার সাথে। পোকাটি যদিও আমেরিকা মহাদেশে ফসলের জন্য বিধ্বংসী। তবে সম্প্রতি ভারত এবং শ্রীলংকায় এর আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পার্শ্বপর্তী অঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। তাই আমাদেরও সাবধান হতে হবে। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (আরএআরএস) সম্মেলনকক্ষে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণ ও এর প্রতিকারের ওপর সচেতনমূলক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাশ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) পরিচালক ড. সৈয়দ নূরুল আলম। তিনি বলেন, এ পোকা সাধারণত ভুট্টা, তুলা, বাদাম এবং ধানসহ প্রায় ৮০টি ফসলের ক্ষতি করে। এদের আক্রমণ হতে রক্ষা পেতে প্রাথমিক অবস্থায় পোকা চিহ্নিত করা জরুরি। দমনের জন্য ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। তাই জমিতে এ পোকার দেখা দেয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্ববান জানান।
উল্লেখ্য, অত্যন্ত ক্ষতিকর এ পোকাটি চেনার উপায় হচ্ছে -এদের বাচ্চার মাথায় ইংরেজি বর্ণ ‘ওয়াই’ এর ঠিক উল্টা জালের মতো দাগ থাকে। শরীরের উপরের অংশের দু’পাশে লম্বালম্বি গাঢ় রঙের দাগ রয়েছে। পোকার তলপেটের আট অংশের উপরিভাগে চারটি কালো দাগ দেখা যায়।
আরএআরএস’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই); বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলী, ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সামসুল আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, ইউএসএআইডির প্রতিনিধি ড. শাহিদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বরিশাল এবং ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দু’শতাধিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।