নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে শেষ হলো ৪র্থ জাতীয় সবজি মেলা-২০১৯। তিন দিনব্যাপী (২৪-২৬ জানুয়ারি) উক্ত মেলায় প্রায় ২২ লক্ষাধিক টাকার সবজি পণ্য বিক্রি হয়েছে। সমাপনী দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুকে মেলা কর্তৃকপক্ষ উক্ত তথ্য দেন। সবজি মেলায় এ বছর মোট ৬৮টি স্টল ও প্যাভেলিয়ন বসে। মেলার বিভিন্ন স্টল সরেজমিনে ঘুরেফিরে দেখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মেলা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিভিন্ন সবজি ও ফলমূলের বারোমাসী জাতের উদ্ভাবনের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তিনি উপজেলা পর্যায়েও নিয়মিত সবজিমেলা ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, মেলার স্টলগুলো থেকে দর্শণার্থীদের অর্গানিক সবজি উৎপাদনের নিয়মকানুন ব্যাখ্যার পাশাপাশি পারিবারিকভাবে সবজি চাষাবাদের জন্য উদবুদ্ধকরণের দরকার।
মেলা পরিদর্শনের পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেb। তিনি কৃষিপণ্যসহ শাক-সবজি ও ফলমূলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক পরিহারের পাশাপাশি অসময়ে অপরিপক্ক সবজি বিক্রি থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
জনাব খসরু নিরাপদ সবজি চাষে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগেকার দিনে প্রতিটি বাড়ির আশেপাশে যেমন সবজির গাছ লাগিয়ে নিজেদের জরুরি প্রয়োজন মেটানো হতো, তেমনই প্রতি পরিবারে অর্গানিক সবজি চাষে উদবুদ্ধকরণে মাঠকর্মীদের নির্দেশ দেয়ার জন্য কৃষিমন্ত্রণালকে অনুরোধ করেন। তিনি বসতবাড়ি ছাড়াও টব ও ছাদের সবজি চাষকে অধিকতর উৎসাহ দানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী সবজি উৎপাদনে অবদান রাখায় মেলার স্টল ব্যতীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২০১৮ সালের কৃষি পুরষ্কার প্রাপ্তদের মাঝে পুরষ্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি অমিতাভ দাসের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রউফ, ১ম ও দ্বিতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক যথাক্রমে বদু মিয়া ও বেলী বেগম।