ঢাকা সংবাদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান প্রকল্পের কাজের ব্যর্থতা বা দুর্বলতা আড়াল না করে এডিপি সভায় বাস্তবচিত্র তুলে ধরতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমি প্রকল্পের কাজের অবস্থা দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবো। কাজের মানহীনতা বা দুর্নীতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত মেয়াদেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে এবং অর্থবছর শেষ হলেই যেনতেনভাবে প্রকল্পের টাকা খরচ করে সরকারি অর্থের অপচয় আর নয়। এর চেয়ে উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষগারে জমা দেয়াই ভালো। প্রকল্পের মেয়াদশেষে আর সময়বৃদ্ধি করা যাবে না, যাতে নতুন-নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা যায়।
রবিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্ততরের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাসিক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রাণিখাতের ২১টি চলমান প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্র অবহিত হন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পের নামে কোনো যন্ত্রপাতি অবশ্যই এক্সপার্ট কমিটির মাধ্যমে যথাযথভাবে বুঝে নিতে হবে। যন্ত্রপাতি যাতে অযথা পড়ে থেকে নষ্ট না হয় এবং নির্ধারিত ওয়ারেন্টির মেয়াদ পার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প-বাস্তবায়নে বেসরকারি ফার্মের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখাকে জনবলে সমৃদ্ধ করতেও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডলসহ উর্ধ্বতন অফিসার এবং প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিশ্বব্যাংকের ৭-সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। এতে উভয়পক্ষ ‘The Livestock and Dairy Development Project(LDDP), ‘The Climate Smart Plan (CSIP) এবং ‘Discussion on Maximum Finace for Development (MFD) এর ওপর আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।