ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই অঞ্চলের কাঁচাপাট রপ্তানী শিল্পের উন্নতিকল্পে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশী খুলনাঞ্চলের সরকারী বেসরকারী পাটগুলোর বিরাজমান সমস্যা অচিরেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো। কেননা বর্তমান সরকার পাট শিল্প বান্ধব সরকার। সরকার পাট শিল্পের উন্নয়নে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলেই মানুষের আবাসস্থল, ঘর এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকুরি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। এই লক্ষ্যে দশ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের ৩শ’ থেকে ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করে এই অঞ্চলের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। বর্তমান সরকার অসহায় ও দুস্থ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গত ১০ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শনিবার (২ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এম.পি, এসব কথা বলেন।
খুলনার দৌলতপুরস্থ বিজেএ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি -কে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলীর সভাপতিত্বে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূঁইয়া, বিজেএ’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. কুতুব উদ্দিন, বিজেএ’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাফুজুল হক, শেখ আব্দুল মান্নান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুস সোবাহান শরীফ ও শেখ দাউদ হায়দার প্রমূখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এম.পি-কে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানান।
এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী দুপুরে নগরীর ফুলবাড়ীগেটস্থ মেঘনা মেট্রোলিয়াম লিমিটেডের সহযোগিতায় পূর্ব ও পশ্চিম সেনপাড়া বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য চেক বিতরণ ও প্লট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে একশ’টি অর্থনৈতিক জোনে পরিণত করতে কাজ করছে। এই সরকার শহরের পাশাপাশি গ্রামেরও উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, নানা ষড়যন্ত্রে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু নির্মাণে তাদের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে কিছুতেই পিছপা হননি। পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হবে। পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। সেতুর কাজ প্রায় ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
মেঘনা মেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর ছাইফুল্লাহ আল-খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, কেএমপির ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, নগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাজিদুর রহমান লিংকন ও খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার এইচ আর আখতার হোসেনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কেসিসি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাকিল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক এফ এম জাহিদ হাসান জাকির, আ’লীগ নেতা মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল, মাসুদ পারভেজ সোহলে, নুরুজ্জামান ব্যাপারী, সাইয়েদুর রহমান, আবু হেনা বাবলু, আলহাজ্ব শেখ আনছার আলী, মোল্লা ওমর ফারুক, জহিরুল ইসলাম পান্নু, মিজানুর রহমান রুপম, অলিয়ার রহমান রাজু, সেলিম রেজা, সুমন মুন্সি, আব্দুল হক নাহিদ, কামাল মুন্সি, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন মেঘানা পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পুনর্বাসনের জন্য ৬৫টি পরিবারের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।