রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

আমিষের ঘাটতি মেটাতে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশ খাদ্যে স্বয়ম্পূর্ণ হলেও প্রাণিজ আমিষের চাহিদায় এখনো ঘাটতি রয়েছে। তাই গবেষণার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আন্ত:ইনস্টিটিউট গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয় থাকা একান্ত জরুরি। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত “Experience Sharing on Research Achievment of Scavenging (Deshi) Poultry Conservation and Development Project” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, মেধাবী জাতি গড়তে হলে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই এবং এজন্য গবেষণা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। পোল্ট্রি সেক্টরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণাধর্মী কর্মসূচি হাতে নেয়ার প্রয়োজনের ওপর তারা জোর দেন। ইতোমধ্যে বিএলআরআই উদ্ভাবিত বেশকিছু প্রযুক্তি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণও করা হচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়। বিএলআরআই কতৃক উন্নয়নকৃত দেশী মুরগীর জাত ডিম ও মাংসের চাহিদাপূরণে ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্বল্পজায়গায় অধিক নিরাপদ আমিষের উৎপাদনবৃদ্ধির লক্ষ্যে অঞ্চলভিত্তিক সমস্যানিরুপন করে নতুন-নতুন গবেষণাকার্যক্রম গ্রহণ করা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরি ও প্রয়োজনীয়।

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা এনামুর রহমান, এমপি। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, সদ্যসমাপ্ত ‘দেশী মুরগি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’ এর প্রকল্পপরিচালক শাকিলা ফারুক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদখাতের অব্যাহত প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ খাতে প্রত্যক্ষভাবে ২০% এবং পরোক্ষভাবে ৫০% লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতায় নতুন-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দেশি জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতির কৌলিক মান উন্নয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন। বিএলআরআই দেশের আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে ব্রয়লার মুরগি, টার্কি এবং হাঁসের জাত উদ্ভাবন ও সংরক্ষণ, খাদ্যপ্রযুক্তি, ভ্যালু এডিশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডিম-মাংস ও দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি পশুপাখির রোগপ্রতিরোধের জন্য উন্নতমানের ভ্যাক্সিন এবং দেশেই পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন উৎপাদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 3634 times!

Check Also

চট্টগ্রামে আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজ পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত …