নিজস্ব প্রতিবেদক: “প্লাস্টিকের চাল বলতে কোন চাল নেই। এটি অবাস্তব। প্লাস্টিকের চালের তথ্য সঠিক নয়। গাইবান্ধার প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। যে চালকে প্লাস্টিক হিসেবে বলা হচ্ছে সে চাল দিয়ে মুড়ি হচ্ছে। এ ব্যাপারে মিডিয়াকে আরও তৎপর হতে হবে, যেনো মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।” বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এম.পি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত H.E earl R. Miller এর মধ্যে বৈঠকে শেষে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী । এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারের লক্ষ্য গ্রাম পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। শহরের সকল সুযোগ সুবিধা গ্রামে পৌছে দেয়া। কৃষি বাণিজিকিরণসহ মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির করে যুবকদের কর্মমুখি করা হবে। এত দেশের অর্থনীতির প্রবাহ গতিশীল হবে।
তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌলিক সেবাগুলোকে জনগণের আরো কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য সরকার ই-গভার্নেন্স ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। এছাড়া দূর্নীতি রোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন কৃষি মন্ত্রী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবেশ অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো এবং বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক গতিশীলতার জন্য এটি অপরিহার্য। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
কৃষির উন্নয়নে আধুনিকায়ণ, বাজারজাতকরণ, যান্ত্রিকিকরণে মার্কিন সরকার সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। এ খাতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, কৃষির গবেষণা ও প্রশিক্ষণেও সহায়তার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে।
বৈঠকে জীন প্রকৌশলের মাধ্যমে উদ্ভাবন করা বিটি বেগুন, পাটের জিনম সিকোয়েন্স ও ভিটামিন ‘এ’ ও বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত ‘গোল্ডেন রাইস’সহ কৃষির নানা বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে বলেন কৃষি মন্ত্রী। বাইও মডিউল মার্কেটিং, কৃষি যান্ত্রিকিকরণ এবং সাশ্রয়ী দামে কৃষকের ব্যবহার উপযোগী ছোট যন্ত্রপাতিরও কথা হয় ।
পাঁচ সদস্যরে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন Mr. Derrick Brown, Director USAID, Mr. Mark A Myers, Agriculture Attache USDA, Mr. Kerry Reevers, Deputy Director, USAID এবং Mr. Aniruddha Roy, Private sector Adviser, EG