নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): কৃষিকে এগিয়ে নিতে যান্ত্রিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। এতে শ্রম ও সময় যেমন কম লাগে, তেমনি খরচও হয় সাশ্রয়। তাই মাঠের জনবল কমিয়ে কল-কারখানায় বাড়াতে হবে। স্বাধীনতার আগে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তখন ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ। এখন ৪৬ ভাগে চলে আসছে। আরো কমিয়ে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে হবে। এসব লোক অন্য পেশা স্থানান্তর করা দরকার। তাহলে দেশ হবে আরো সমৃদ্ধ। বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী সদরের লাউকাঠিতে পিটুএস’র সাহায্যে মুগ ডাল বপনের ওপর কৃষক মাঠদিবস প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর –এর (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. আরশেদ আলী এসব কথ বলেন।
আদর্শ চাষি আলম সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার সনজীব মৃধা, বাউফলের উপজেলা কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল সরকার, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট বাংলাদেশ) হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আতিকুজ্জামান, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ননী গোপাল সাহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পিটুএস হচ্ছে এক ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি। পুরো নাম পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার। অর্থাৎ পাওয়ার টিলারের সাহায্যে বীজ বপন যন্ত্র। এক সাথে জমি কর্ষণ, মই দেয়া এবং বীজ বোনা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।