নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): “দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রয়োজন লবণসহিষ্ণু ফসলের আবাদ বাড়ানো। এ জন্য সবার আগে দরকার বীজের সহজলভ্যতা। একই সাথে মিষ্টি পানির নিশ্চয়তা। যে কারণে বর্তমান সরকার খাল খননের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছে। বীজ সংগ্রহে আগ্রহ সৃষ্টি এবং পানি সংরক্ষণে আপনাদেরও ভূমিকা নিতে হবে। আর তা যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এ অঞ্চলে রেড বিটের মতো নতুন নতুন ফসল জনপ্রিয় হয়ে ওঠবে।” বৃহষ্পতিবার পটুয়াখালী নগরীর কোডেক সম্মেলনকক্ষে দিনব্যাপি এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত এসব কথা বলেন।
দ্যা সল্ট সলুয়েশন প্রকল্প এবং ইকো কর্পোরেশনের যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী অরুণ কুমার গাঙ্গুলী। ইকো কর্পোরেশনের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ রানার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম, পিএসও ড. মো. ইদ্রিস আলী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক সানাউল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, কালাপাড়ার উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মান্নান, গলাচিপার উপজেলা কৃষি অফিসার এআরএম সাইফুল্লাহ্, কোডেকের উপপরিচালক অর্চণা পাল, এরিয়া কো- অর্ডিনেটর মো. মাহাবুব উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় চাষিদের কৃষিপণ্য প্রদর্শিত হয়। কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, দ্যা সল্ট সলুয়েশন প্রকল্প এ অঞ্চলে ৫ টি ফসল নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হলো: রেড বিট, আলু, বাঁধাকপি, শালগম এবং গাজর। সবগুলো জাত হল্যান্ড থেকে আনা।