আমাদের প্রথম যে খামার সেটা হলো সাঁতারকুলে ৫ বিঘা জমির উপর। জায়গাটা অবশ্য খামার করার জন্য কেনা হয়নি। সে রকম কোনো প্লানও ছিলো না যে এখানে একটা গরুর খামার করবো।আমাদের প্লান ছিলো একটা স্কয়ার সেপ জায়গা কিনে বাড়ি করে সেখানে সবাই মিলে থাকবো। কিন্তু এতো বড় একটা জায়গা খালি ফেলে রাখাতো যায়না। আবার দাড়োয়ান রাখতে গেলেও প্রতিমাসে অনেক টাকার ব্যাপার। তাই চিন্তা করলাম একটা গরুর খামার করলে কেমন হয়।
ছোটবেলা থেকেই গরু পালার প্রতি একটা দুর্বলতা ছিলো। ২০১০ সাল থেকেই আমি গরু পালতাম। কিন্তু সেটা ছিলো শখের বসে এবং কোরবানি দেয়ার জন্য। তখন আমার দেখাদেখি আমার আত্নীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবরাও গরু পালা শুরু করে। একটা মজার ব্যাপার হলো আমার সাথে যারা গরু পালতো তাদের গরু আমারটার মতো এতোটা মোটাতাজা হতো না। কারণ, আমি গরু কেনার সময় জাত বাঁছাই করে কিনতাম। তবে আমার কিন্তু এ ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছিলোনা। বড় বড় ডেইরি ফার্মগুলোতে আমি যেতাম, শিখতাম এবং উৎসাহিত হতাম। তারা গরুকে কি খাওয়ায়, কিভাবে খাওয়ায়, গোসল করায় সবকিছু খেয়াল করতাম। গরুগুলো দেখতাম আর ভাবতাম ইস্ তাদের গরুগুলো কতো বড় বড়! কিন্তু তখন আমি তাদের কাছ থেকে কখনো গরু কিনতে পারতাম না। কারণ সেটা আমার সামর্থ্যের বাইরে ছিলো।
উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন দেশের ডেইরি ও ক্যাটল শিল্পে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘মেঘডুবি’ এগ্রো’র কর্ণধার জনাব আলী শাহীন সামী। পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গী, ধৈর্য্য, শেখার প্রতি আগ্রহ থাকার কারণে ‘মেঘডুবি এগ্রো’ দেশের অনুসরনীয় এক ফার্মের নাম। এগ্রিনিউজ২৪.কম -এর পক্ষ থেকে আমরা জানতে চেয়েছি কীভাবে তিনি এ ব্যবসায় এলেন, তাঁর অভিজ্ঞতা, ব্যবসার সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি নানা বিষয়ে। আসুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শাহীন সামী’র মুখেই জানি তাঁর এবং মেঘডুবির গল্প।
২০১৪ সালে ৮০টি ষাঁড় এবং ২০টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করি। বলতে পারেন, তখন থেকে আমার সংগ্রাম শুরু হয়। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর আমার শুধু লোকসান হয়েছে। কারণ, তখন আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিলোনা। সবকিছু বুঝতে পারতাম না। যে যেভাবে বলতো আমি সেভাবে করতাম। কিন্তু কেন লোকসান হতো আমি ধরতে পারতাম না। একসময় আমি আমি খুঁজতে শুরু করলাম, কি কারণে আমার খামারে এতো লোকসান হচ্ছে। আমি কোন স্টেজে আছি? কেনো এমন হচ্ছে?
২০১৫ সাল পর্যন্ত আমি যতো গাভী কিনেছি তার বেশিরভাগই মারা যেতো। এরপর আমি গাভী কেনাই বন্ধ করে দিলাম। আগের যা ছিলো সেগুলোই রয়ে গেলো। গাভীতে রোগ একটু বেশি-ই হতো। ডাক্তার দেখানোর পরও কোনো লাভ হতো না। খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম। ওষুধের পেছনেই আমার বেশির ভাগ টাকা খরচ হয়ে যেতো। অথচ গাভীগুলো কিন্তু আমি দেশের বড় বড় খামার থেকেই কিনতাম।
আসলে আমি খুব অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করার পক্ষে ছিলাম না। আমার বিবেক এ বাঁধা দিতো। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে গরু মোটাতাজা করা যায়। অনেকে আমাকে বাজার থেকে ইউরিয়া এনে গরুকে খাওয়ানোর কথা বলতো কিন্তু আমি কখনো সেটা করি নাই। কারণ, আমি জানি আমাদের দেশের ইউরিয়া সারের মান ভালো না। অনেক ফিড কোম্পানিও আসছে আমার কাছে। কিন্তু সেটাও আমি নেইনি। কারণ, যেখানে মানুষের খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কোয়ালিটির ব্যাপারে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। সেখানে গরুর খাদ্য তো অনেক দূরের কথা।
বর্তমানে আমার মোট ৯টি খামার আছে। এর মধ্যে ঢাকার সাঁতারকুলে ১টি ও বছিলায় ৩টি, কুষ্টিয়ায় ৩টি, শ্রীমঙ্গলে ১টি, ঠাকুরগাঁয়ে ১টি। ৯টি খামারে ক্যাটল এবং ডেইরি মিলে মোট ১২০০ গরু আছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ক্যাটল। আসলে আমার ৩০০ -এর বেশি গরু পালার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। বলতে পারেন এই ১২শ’ গরু আমাকে প্রয়োজনের তাগিদেই করতে হয়েছে। কারণ, ব্যবসার ক্ষেত্রে আমি খুব ক্যালকুলেটিভ। যে যে কোন ব্যবসায় উৎপাদন খরচ কমানো না গেলে লাভ করে টিকে থাকা মুশকিল। গরু পালনের প্রধান খরচ খাদ্য বাবদ। বলতে পারেন গরুর এই সংখ্যা আমি বাড়িয়েছি শুধুমাত্র খাদ্য খরচ কমানো জন্য। আপনাকে ছোট্ট একটি ঘটনার উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন শাহীন বলতে লাগলেন-
‘এক লোক আমার কাছ থেকে ১০দিন পর পর ৫ টন করে সাইলেজ নিতেন উনার খামারের জন্য। ৫ টন সাইলেজ নিতে তার পরিবহন খরচ হতো ৯ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে বছরে শুধু পরিবহন খাতেই তার খরচ হতো ১ লাখ ৮ হাজার টাকা। একদিন উনাকে বললাম, আপনি ৫ টন করে ১০ দিন পরপর না নিয়ে একসাথে ১৪ টন নেন। এতে করে আপনার গাড়ি ভাড়া লাগবে না এবং প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা খরচ কম রাখা হবে। একবার হিসেবে করে দেখুন প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা দাম কম রাখলে বছরে তার ৮৪ হাজার টাকা লাগে। এবার এই খাবার থেকে মূল্য সাশ্রয়ের সাথে পরিবহন খরচ যোগ করে দেখুন বছরে তার ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হয়। কিন্তু উনি যদি একটু ক্যালকুলেটিভ হয় তবে কিন্তু এই টাকাটা বেঁচে যায় এবং এটাই লাভ।
আবার ধরেন, একজন লোকের ৪৫টি গরু আছে। তার একটা গরু যদি প্রতিদিন ১০ কেজি খাবার খায় এবং সেই খাবার খরচ যদি কেজিপ্রতি ১টাকা বাড়তি খরচ হয়, তাহলে প্রতিদিন ৪৫০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। তাহলে এক বছরে অতিরিক্ত খরচ হবে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা। আমাদের দেশের খামারিরা ৫-১০টাকা বেশি দিয়ে বাকিতে ভূষি কিনে খাওয়াতে রাজি আছে। যেখানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কোনো সমস্যা নাই সেখানে ৫০ পয়সা তো তাদের কাছে কোনো ব্যাপার না। এজন্যই তারা লসের মুখে পড়ে। এই যে লসের মুখে পড়লো সেটা কিন্তু একবার ভেবেও দেখে না যে, কেনো তারা লসের মুখে পড়লো! এজন্য প্রত্যেক খামারি ভাইকে ক্যালকুলেটিভ হতে হবে। এখানে ৫০ পয়সা কেনো ১ পয়সাও হিসাব করতে হবে। কারণ, মনে রাখতে হবে এটা বিজনেস।’
জানতে চাইলাম, গরুর উৎপাদন খরচ কমাতে গেলে আর কি কি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত? এবার তিনি বলতে থাকলেন
‘একমাত্র উপায় খাবার খরচ কমাতে হবে। আপনি যদি ন্যাচারাল খাবার খাওয়ান তাহলে মেডিসিন খরচ প্রায় শূণ্য হয়ে যাবে। এখানে আর একটা কথা না বল্লেই নয়, গরুকে অবশ্যই ক্ষুরা রোগের টীকা দিতে হবে। এই যে দেশ থেকে ম্যালেরিয়া, যক্ষা, পোলিও রোগ প্রায় চলে গেছে তার কারণ সরকার সারাদেশে একই দিনে, সবাইকে একসাথে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। একইভাবে আমরা যদি একটা নির্দিষ্ট তারিখে প্রত্যেক গরুকে ক্ষুরা টীকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে এ রোগ সারাজীবনের জন্য চলে যাবে। হয়তো মাঝখানে ৪-৫ বছর সময় লাগবে। আশেপাশের কেউ যদি গরুকে এ টীকা না দেয় তাহলে আমি তাদেরকে নিজে গিয়ে বলি, ভাই টীকাটা করে নেন। বেশি খরচ হয় না, মাত্র ১৫ টাকা।’
এতসব হিসেব নিকেশ এবং টেকনিক্যাল কথার ফাঁকে জানতে চাইলাম, পড়াশুনা এবং ব্যাক্তিজীবন সম্পর্কে। শাহীন সামী’র টেবিলে রাখা চটপটির বাটি থেকে এবার এক চামচ মুখে নিয়ে বলতে থাকলেন-
‘সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের ছাত্র ছিলাম। নটরডেম থেকে এইচ.এস.সি পাশ করার পর আমি পড়াশুনার জন্য সিঙ্গাপুর চলে যাই। সেখানে আমি ফ্যাশন ডিজাইনের উপর পড়াশুনা করি। ফ্যাশন ডিজাইনে পড়ার সময় আমার করা একটি থিম আমেরিকার একটি কোম্পানীর পছন্দ হয় এবং স্কলারশীপও পাই। কিন্তু বাবা রাজি না হওয়ায় সেখানে যাওয়া হয়নি। ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেখান থেকে আমি দর্শন বিদ্যায় অর্নাস, মাস্টার্স করলাম। পাশাপাশি ঢাকা কলেজ থেকে পাশ কোর্স ডিগ্রিও নিয়ে নিলাম তখন।’
শাহীন সামীর জন্ম পুরান ঢাকার বংশালে ১৯৭১ সনের ২৫ ডিসেম্বর। ছয় বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বাবা এডভোকেট মো. ইয়াকুব আলী খান বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবি, ঢাকা বার কাউন্সিলের সভাপতিও ছিলেন। মাতা মিসেস ফিরোজা বেগম গৃহিণী। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। স্ত্রী মিসেস কামরুন নাহার গৃহিনী তবে স্বামীর খামার থেকে সব কাজে সহায়তা করেন দারুনভাবে। যেকোন কাজে মায়ের পরামর্শ নেন বলে জানালেন তিনি।
এখানে একটি বিষয় না বললেই নয়, আমি যখন এই পেশায় আসি তথন আমার মা খুব একটা রাজী ছিলেন না। পড়ে বুঝতে পারলাম, কেন? সাধারণ খামারিদের নয়-ছয় বুঝিয়ে অনেক বেপারী নিম্নমানের গরু উচ্চদামে ধরিয়ে দেয়। প্রথম প্রথম আমি আমি গাভী এবং ষাড় কেনার সময় অনেক ঠকেছি। কারণ, আমি তখন এই পেশায় একেবারেই নতুন ছিলাম। এখন অবশ্য পারে না।
ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ ছেড়ে আবার ডুব দিলাম মেঘডুবির কর্ণধারের গল্পে, জানতে চাইলাম- আমাদের দেশে ডেইরি/ ক্যাটল সেক্টরের প্রধান দুটি সমস্যা হচ্ছে ব্রিড এবং কাঁচা ঘাস। কাঁচা ঘাসের বিকল্প কি তবে সাইলেজ?
তিনি বললেন, ‘না। আমি কথাটাকে ঠিক ওভাবে বলতে চাইনা। আমি বলবো, গরুকে খাওয়ানোর জন্য জমিতে যে ঘাস চাষ হচ্ছে সেখানে ঘাসের পরিবর্তে ভুট্টা, ধান বা গম চাষ করলে ভালো হয়। আবার সাইলেজ করার জন্য একটা জমি এবং ঘাস চাষ করার জন্য আলাদা জমি থাকবে।’
অনেক কথা-ই জানা হলো কিন্তু ‘সাইলেজ’ কী সে ব্যাপারেতো বিস্তারিত কিছুই জানা হলো না! তাই জানতে চাইলাম, ‘ভাই সাইলেজ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত ধারনা দিবেন?’ এবার তিনি বলতে লাগলেন-
‘যেকোনো সবুজ ঘাসকে এয়ারটাইট করে সেটাকে প্রিজার্ভ করাকেই সাধারণ অর্থে সাইলেজ বলে। অর্থাৎ একটা ফসল পরিপক্ক অবস্থায় পৌঁছানোর আগে সেটিকে বায়ূ নিরোধক করতে হবে। তবে হ্যা, শুধু বায়ুনিরোধ করে রেখে দিলেই হবেনা। প্রত্যেকটা ফুডের একটা ময়েশ্চার বা আর্দ্রতার লেভেল থাকে। সেটা যদি ঠিক না থাকে বা কম বেশি হয় তাহলে কিন্তু সাইলেজ হবে না। কারণ, ময়েশ্চার ঠিক না থাকলে ব্যাকটেরিয়া সব জায়গায় সমানভাবে ছড়াতে পারে না।
ময়েশ্চার ঠিক রাখার জন্য আমরা শুকনো খড় ব্যবহার করতে পারি। শুকনো খড় বাড়তি পানি শোষন করে নেয়। ময়েশচারকে একটা নির্দিষ্ট লেভেলে ধরে রাখার জন্য এবং সাইলেজকে মানসম্মত করতে হলে অবশ্যই খড় ব্যবহার করতে হবে। সাইলেজ এর মান বাড়ানোর জন্য আমরা কিন্তু টক দই ব্যবহার করতে পারি। এর সুবিধা হলো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং সাইলেজটা তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যায়।
আমি ধান, গম এবং ভূট্টার সাইলেজ করেছি ইউরিয়া সার ছাড়া। বাংলাদেশে আমার জানামতে আমিই একমাত্র ইউরিয়া সার ছাড়া সাইলেজ করেছি। আপনি সাইলেজ নিয়ে ইউটিউবে যত ভিডিও দেখবেন, সব ইউরিয়া দিয়ে করে। এমনকি সরকার থেকে যে সাইলেজ তৈরির যে ভিডিও দিয়েছে সেটাও ইউরিয়া দিয়ে। ইউরিয়া ছাড়া যে সাইলেজ হয় তারা হয়তো সেটা জানেই না। বাংলাদেশে যে ইউরিয়া আছে সেগুলো ফসলের ক্ষেতের উপযোগী। গবাদিপশুকে খাওয়ানোর জন্য এর গুণগত মানের ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগতভাবে আমার সন্দেহ আছে। অন্যদিকে, ইউরিয়ার সাথে পানি মিশানো হলে একটা বিক্রিয়া ঘটবেই।
আরকটা বিষয় হলো – গমে যেহেতু গ্রেইন কম থাকে তাই শুধু ভুট্টার সাইলেজ না করে ধান আর ভূট্টা এক সাথে মিশিয়ে করলে ভালো হয়। কারণ, ৫ স্কয়ার ফিট জায়গার মধ্যে ভুট্টার সাইলেজ করলে এতে গ্রেইন থাকে ১০-১২% আর সেখানে ধানের গ্রেইন থাকে ৩০% -এর চেয়েও বেশি। সাইলেজ এ গ্রেইন থাকাটা খুবই জরুরি একটা বিষয়। আমরা যদি ধান, গম আর ভূট্টা একসাথে পেতাম তাহলে এখানে অনেক গ্রেইন পেতাম।
অনেক বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী বা খামারি আমার ধারনার সাথে একমত নাও হতে পারেন। আমি সে বিতর্কে যেতে চাইনা। আমি তাদেরকে সম্মান জানাই। আমি যা করেছি নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকেই করেছি। বলতে পারেন ঠকতে ঠকতে শিখেছি আমি। এতে করে আমি কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া পাইনি। আমার খামারে এখন মেডিসিন খরচ প্রায় ৯০% কমে গেছে।
আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা গরুর ঘাসের উন্নয়ন করেছেন ঠিকই কিন্তু এগুলোতে দানাদার বীজ নেই। ঘাসের সমস্যা হচ্ছে প্রথমবার কাটার পর আমরা যে মানটা পাই দ্বিতীয়বার সে মানটা আর পাওয়া যায় না। আবার এক বিঘা জমিতে যদি ঘাস হয় এক টন তবে ভুট্টা হয় তিন টন।’
এবার জানতে চাইলাম, নতুন উদ্যোক্তা বা যারা এ পেশায় খামারিদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কি? তিনি বললেন, আমি নতুনদের কোনো পরামর্শ দিবো না। আমি তাদের সাথে সবসময় আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি বলবো খামার করতে হলে আগে ভালো করে শিখে আসতে হবে। আগে থেকেই তৈরি হয়ে আসতে হবে। লস সহ্য করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। প্রাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে আসতে হবে। তাকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে, হতাশ হলে চলবে না।
:: সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সম্পাদনায়: মো. খোরশেদ আলম জুয়েল, সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী।
:: শ্রুতি লিখনে: মো. জহিরুল ইসলাম সোহেল, সহ-সম্পাদক।