ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা প্রতিনিধি) : সুন্দরবনের নদী ও খালে কুমিরের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানি প্রজাতির আরো ৪টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এম.পি শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে ৯ বছর বয়সের ১টি পুরুষ ও ৩টি নারী কুমির আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (সিএফ) মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও মো. মাহমুদুল হাসান, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, বিলুপ্ত প্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যেই সুন্দরবনে করমজল কুমির প্রজনন কেদ্র থেকে ৪টি কুমির নিয়ে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও সুন্দরবনে বিভিন্ন নদ-নদীতে ৯১টি লবণ পানি প্রজাতির কুমির অবমুক্ত করা হয়।
বিলুপ্ত প্রায় এ প্রজাতির কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের করমজলে দেশের একমাত্র কুমির লালন পালন ও প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলে সুন্দরবন বিভাগ। ২০০৫ সালে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির রোমিও ও জুলিয়েট জুটির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করে। বর্তমানে করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রে ছোট বড় মিলিয়ে ২০৩টি কুমির রয়েছে বলে জানান তিনি।