নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান কৃষি শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করে উৎপাদন দিগুণ করে কৃষি বিপ্লবকে বেগবান করতে যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। শস্য সংগ্রহোত্তর পর্যায়ের বড় একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায়, উৎপাদিত শস্য প্রক্রিয়াজাতের জন্য কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে নতুন উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তি কৃষক পর্যায় কিভাবে গ্রহণ করছে।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর ২ দিন ব্যাপি ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। দিনের শুরুতে মন্ত্রী বারি’র ক্যাম্পসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি অর্থনীতিবিদদের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রয়েছে উদ্ভাবিত জাতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং উপযোগিতা নিরুপন করা। কৃষক উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত ও মূল্য সংযোজন কিভাবে করা যায় তা উদঘাটন করা। সমন্বিত কর্মসূচি নিতে হবে আামাদের নিজস্ব চাহিদা ও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কৃষিজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে রপ্তানির সুযোগ ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীগণদের কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।
কৃষি দেশের বৃহত্তর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা ও কর্মসংস্থান। এই শিল্পে সঞ্চালন ও প্রেষনাই কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক বিস্ফোরণ সৃষ্টি করতে এবং গ্রমীন জনগণের জীবন মানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজ্ঞান, গবেষণা ও বিনিয়োগয়কে সমন্বয় করতে হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের দ্বারা উদ্ভাবনী কৃষি খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণের মাধ্যমে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি খাদ্য ব্যবস্হাপনা গবেষণা ও বিনিয়োগে জোর দিতে হবে। দেশের কৃষি উৎপাদন আরো বেগবান করার লক্ষে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের যথাযথ প্রয়োগ ও লাগসই প্রযুক্তিসমূহ শনাক্ত করে কৃষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্টদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
বারি’র মহাপরিচালক ড.আবুল কালাম আযাদ -এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান মাননীয় সংসদ সদস্য, মো. নাসিরুজ্জামন, সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়।আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অব.) বিএআরআই ও এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট, এনএআরএস।