বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

হাবিপ্রবিতে ভর্তিতে ফের অনিয়মের অভিযোগ

ফাইল ফটো

দিনাজপুর সংবাদদাতা: অনার্স ভর্তিতে অনিয়ম ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রেজিষ্ট্রারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। অনিয়মের প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। চাপে পড়ে প্রশাসন ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

জানা যায়, শারমিন আকতার জি ইউনিটে (শিফট ৩) অপেক্ষমান তালিকায় ১১ তম অবস্থান অর্জন করে। অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির জন্য রিপোর্টও করে। কিন্তু ভর্তির জন্য মনোনিত তালিকায় সে তার নাম খুঁজে পায় না। অথচ ১২তম অবস্থান অর্জনকারীর নাম তালিকায় স্থান পায়। তখন সে রেজিষ্ট্রারকে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগে সে অনিয়মের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ্য করে। একই ঘটনা ঘটে রিদওয়ানুল হকের ক্ষেত্রেও। সে এফ ইউনিটের (শিফট-১) অপেক্ষমান তালিকায় ১০০ তম হয়। নিয়মমত রিপোর্ট করলেও ভর্তির মনোনীত তালিকায় ২১৪ তম অবস্থানকারীরাও জায়গা পায়। যেখানে তার রোল নাম্বারটি নেই। তখন সেও রেজিষ্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। এদিকে জি ইউনিটের (বিজ্ঞান/বাণিজ্য) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ জনকে মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। সাথে ৬ জনের অপেক্ষমান তালিকাও প্রকাশ করে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। রিপোর্ট প্রদানের পর ভর্তির জন্য মনোনীত তালিকায় জি ইউনিটের (বিজ্ঞান/বাণিজ্য) সংরক্ষিত কোটার কোনো তালিকা প্রকাশ করা হয় না।  এখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, অপেক্ষমান থেকে ভর্তির এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। লিখিত অভিযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষনিক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম রাসেল,পল্লব হোসেন রাঙ্গা, নুরুননবী, আলাউদ্দিন বাদশা,আলমগীর হোসেন আকাশ বলেন, “ভর্তিতে অনিয়ম হচ্ছে। ভর্তি প্রার্থীদের লিখিত অভিযোগ তারই প্রমাণ। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। গত বছরের ভর্তিতেও প্রশাসন অনিয়ম করেছিল। ভর্তি বাণিজ্য করেছিল। প্রশাসন যদি অনিয়ম ও দুর্নীতি চালাতেই থাকে তবে ছাত্রলীগ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষনা করবে”।

ক্যাম্পাসের উদ্ভুত পরিস্থিতে প্রশাসন চাপে পড়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

এ ব্যাপারে ভর্তি কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা চয়েজ ফর্ম পূরণ না করায় তাদের নাম লিষ্টে আসেনি। ফলশ্রুতিতে আর তারা ভর্তি হতে পারবে না”

This post has already been read 2984 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …