নিজস্ব সংবাদদাতা (ময়মনসিংহ): যারা কৃষি নিয়ে কাজ করে তারাই সভ্যতার নির্মাতা। প্রাচীণ মর্যাদাপূর্ণ পেশা কৃষি। দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষিতে উন্নয়ন করতে হবে। কৃষকবান্ধব ও কৃষিবান্ধব সরকারের দূরদর্শীতা ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প আজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন যা বাঙ্গালি জাতির সক্ষমতার প্রমান।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক এম.পি ‘কৃষিবিদ দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী অ্যালামনাই সংবর্ধনা ও বর্তমান সরকারের কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত ও সংহত করার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে আধুনিক কৃষি বিষয়ক সেমিনার এসব কথা বলেন।
দিনের শুরুতে কৃষিমন্ত্রী ড.মো.আব্দুর রাজ্জাক এম.পি -এর নেতৃত্বে বর্নাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পস পদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.আলী আকবর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এবং সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরিটাস প্রফেসর কৃষিবিদ ড.এম. এ সাত্তার মন্ডল। সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ ও বিডিবিএল এর সাবেক চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো. ইয়াছিন আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.জসিম উদ্দিন খান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা প্রমুখ।
উল্লেখ্য,জাতির পিতাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি যদ্ধের প্রধান আকাঙ্খা ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদমর্যদা দিয়েছিলেন। জাতির জনকের দেয়া কৃষিবিদদের ঐতিহাসিক এ সম্মানকে স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি জাকজমকপূর্ণভাবে কৃষিবিদগণ দিনটিকে কৃষিবিদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছেন।