নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন “আমি তোদের পদমর্যদা দিলাম, তোরা আমার মান রাখিস” তখন থেকে কৃষিবিদরা প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা লাভ করেন। শিক্ষার্থীদের সেদিন কাগজ কলম বইয়ের পাশাপাশি প্যান্ট-কোট খুলে গ্রামে কৃষকদের সাথে কাজ করার আহবান করেছিলেন। তিনি স্পষ্টভাবে সেদিন বলেছিলেন, সবুজ বিপ্লব ব্যতিত দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি ‘কৃষিবিদ দিবস-২০১৯’ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তার শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং তার অসমাপ্ত কাজটুকু সম্পন্ন করেছেন তারই সুযোগ্য উত্তরসুরী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা। কৃষি ও কৃষকদরদী বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা জাতি আজীবন শ্রদ্ধ্যার সাথে স্মরণ করবে। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা আবার বাংলার মেহনতি মানুষের মেন্ডেড নিয়ে ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে অদ্যাবধি বাংলার উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিশ্ব প্রশংসিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধূ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণই নয় বরং আজ বাংলাদেশ কৃষি পণ্য বহিবির্শ্বে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। দেশের কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। কৃষিবিদরা শুধু কৃষি ক্ষেত্রে নয়, জাতীয় রাজনীতিতে, প্রশাসনিক, ব্যাংকিংসহ সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে।
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ –এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কৃষিবিদ ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ –এর মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।