নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আমাদের বর্তমানে খাদ্য হিসেবে ভাতের উপর নির্ভরতা কমে যাচ্ছে। গম এবং ভুট্টাজাত খাবার ফাস্টফুড হিসেব গ্রহণ করছে। ফলে গম ও ভুট্টার নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে।’
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে আন্তর্জাতিক গম ও ভুট্টা উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট)প্রতিনিধিবৃন্দ সাক্ষাৎ করার সময়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়া ভুট্টা চষের জন্য উপযোগি। দেরিতে হলেও আমাদের দেশে ভুট্টা আবাদের এলাকা ও উৎপাদন দিনে দিনে বাড়ছে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে আমাদের গম উৎপাদন দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। আমাদের ভুট্টা উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ, এখন আমাদের ৩০ লাখ মেট্রিক টন ভুট্টা আমদানি করতে হয়। দেশের পোলট্রি ও মৎস্য খামারে এই পুষ্টিমান সম্পন্ন ভুট্টার বেশ চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে ভুট্টার গুরুত্ব অপরিসিম।’
তিনি বলেন, আমাদের কৃষি বিজ্ঞানিদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও দেশের আবহাওয়া উপযোগি স্বল্প সময়ের গম ও ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করে আগামি দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সিমিট এর সাথে একত্রে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
এ সময়, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সিমিট এর সহায়তা চান মন্ত্রী।
সিমিট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মার্টিন ক্রফ।