রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪

বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অংশিদার হতে চায় ডেনমার্ক

সচিবালয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন ও কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, এম.পি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অংশিদার হতে চায় ডেনমার্ক। বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় ডেনমার্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক -এর সাথে সচিবালয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন । সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের কৃষি ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের ও দ্বিপাক্ষীক বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাত্তোর সময়ে ডেনমার্ক আমাদের দেশে ‍ উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে। দেশটি মৎস্য প্রযুক্তি ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা করে। এছাড়া ডেনমার্কের সাথে ২০১৬ সালে কৃষি জলবায়ু পরিবতর্নসহ বিভিন্ন খাতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দেশটির সাথে ‍কৃষি,পর্যটন ও নিমার্ণ খাতের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও দুটি দেশের মধ্যে পাস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। দেশটির সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

তিনি বলেন,কৃষি যান্তিকিরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে, উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকিকরণ একান্ত প্রয়োজন। যার ফলে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে,অতিরিক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে,বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে এবং জনগণের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, এ শিল্প দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। কৃষক যে ফসলে ভালো দাম পাবে সেই ফসলই ফলাবে। আমাদের কৃষি ও কৃষকবৃন্দকে বাঁচাতে হলে প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকিকরণ অপরিহার্য,সর্বোপরি বিনিয়োগে আহবান জানান কৃষিমন্ত্রী।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ডেনমার্কের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ডেপুটি হেড অব মিশন মিস রেফিকা হায়তা।

এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষৎ করেন আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্রের (আইএফডিসি) এর প্রতিনিধি ইসরাত জাহান। দেশে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাজ করছে সংস্থাটি। আইএফডিসি প্রতিনিধি মন্ত্রীকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। কৃষি মন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের ওপর তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।

This post has already been read 3466 times!

Check Also

খাদ্য মজুদ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য -খাদ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য মজুদ বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। …