নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিতে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ খাদ্য সমস্যা মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মুল্য সংযোজন ও প্রক্রিয়াজাত অপরিহার্য । কৃষির উন্নয়নের সাথে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে এডিবি । মনমোহন পারকাশ কৃষি পণ্য রপ্তানিতে এডিবি’র পূর্ণ সহায়তার কথা ব্যক্ত করেন।
বৃধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি)কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন ।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা দানাদার খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংস্বপূর্ণ। সরকার সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে কাজ করছে। এক সময় আমাদের দেশে ভুট্টার চাষ করা হতো না এখন আমরা পৃথিবীর উৎকৃষ্ট মানের ভুট্টা উৎপন্ন করি। প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের ভুট্টা মুলত পোলট্রি ও মৎস্য খামারে ব্যবহার হয় । উন্নত দেশে ভুট্টা প্রক্রিয়াজাত করে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, কৃষিতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে সংরক্ষণ, মুল্য সংযোজন, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণ। এ জায়গাটিতে আমরা এডিবি’র সহায়তা চাই।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকিকরণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকিকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এডিবি’র সহায়তা দরকার। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন উন্নত শস্যের জাত উদ্ভাবন করছেন। আমাদের শস্যের উৎপাদন বাড়ছে কিন্তু কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না। কৃষকের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াজাত বাজারজাত ও মূল্যসংযোজন অপরিহার্য। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে সমবায় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ্য করেন কৃষি মন্ত্রী।
কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ শেষে বলেন, আমরা সামনের দিনগুলোতে একসাথে উন্নয়নের জন্য কাজ করবো্।
তিনি বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ভ্রমণ করে সেখানকার যোগাযোগ ও অবকাঠমোগত উন্নয়নের প্রশংসা করন । এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তিকৃত প্রকল্প দ্রুত শুরু করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সাল থেকে এডিবি বাংলাদেশে কাজ করছে।