ঢাকা সংবাদদাতা: নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টির সাথে আয়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আয় বৃদ্ধির সাথে কৃষি জড়িত। আমাদের কৃষির অভ্যান্তরীণ বাজার সম্প্রসারিত করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য কৃষি পণ্যের বৈচিত্রায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ অপরিহার্য। কিভাবে বাজার সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা যায় তা বের করতে হবে। থাইল্যাণ্ড, ভিয়েতনাম পারলে আমরা কেন না? সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর)কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক,এমপি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্প সমূহের (এডিপি) অগ্রগতি-জানুয়ারি/২০১৯ এর পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এ এম এম সালেহ’র মৃত্যুতে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনা করা হয়। সভায় প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ তাদের স্ব স্ব প্রকল্পের অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। মন্ত্রণালয়ের মোট ৭২টি প্রকল্পের অনুকুলে ১হাজার ৩শ’ ৩৩ দশমিক ৬৫ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে শস্যের নিবিরতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোন জমি পতিত রাখা যাবে না। যেসব জায়গায় ধান বা আলু উৎপাদন ভালো হয়না তা চিহ্নিত করে ভুট্টা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য যান্ত্রিকিকরণ বাড়াতে হবে। ভুট্টার আমাদানি নির্ভরতা কমিয়ে লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাৎসরিক উৎপাদন ৬০ লাখ টন করা। বৈঠকে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে চাষীদের বিনামূল্যে ভুট্টা বিজ সরবরাহ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ফসলের ক্ষতিকর পতঙ্গ নিধনে ফেরোমন ট্র্যাপ ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য কীটনাশক বিক্রেতাদের ফেরোমন ট্র্যাপ বিক্রিতে আহবান জানানো প্রয়োজন। বর্তমান আবহাওয়ায় ব্লাস্ট রোগ ছড়ানোর আশংকা থাকে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন মন্ত্রী।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,সংস্থার প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।