নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় এদেশে খাদ্য থেকে শুরু করে আনুসঙ্গিক বেশিরভাগ জিনিসই আমদানি করতে হতো। দেশের চাহিদার অনেক কিছুই এখন আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে বরং রপ্তানি হচেছ। দেশে পোলট্রি, মৎস্য ও প্রাণিজাত খাদ্য (ফিড) অন্যতম উপাদান ভিটামিন ও প্রিমিক্স। এসব ফিড উৎপাদনে বছরে প্রায় ১২ হাজার মে.টন প্রিমিক্সের প্রয়োজন হয় যা সম্পূর্ণটাই আমদানি নির্ভর। এর ফলে দেশের শত শত কোটি টাকা যেমন বিদেশে চলে যাচেছ তেমনি প্রয়োজনীয় সময়েরও অপচয় হয়। সুখবর হচ্ছে ফিডের প্রয়োজনীয় এই উপাদানটি এখন বাংলাদেশেই উৎপাদন হবে। অন্যদেশ নয়, প্রিমিক্স হবে এখন মেড ইন বাংলাদেশ। প্রাণিস্বাস্থ্য সেবাদানকারী স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কাজী এগ্রো লি: এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান Bestmix (BD) Ltd. এর উৎপাদিত প্রিমিক্স খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়ায় অবস্থিত কারখানা পরিদর্শন করানো হয় একদল কৃষি সাংবাদিকদের এবং সেখানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কাজী সাঈদ বলেন, ‘প্রিমিক্স প্লান্ট করার উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমাদের দেশের ফিডমিলারগণ ফ্রেস ভিটামিনটা এখান থেকে পাবেন। কমপক্ষে ২০% কম দামে তারা প্রিমিক্স পাবে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই সাথে বাঁচবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
ডা. কাজী সাঈদ বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি বাঁচবে সময়। যেখানে সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ড থেকে প্রিমিক্স আমদানি করতে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যায় সেখানে আমাদের প্রিমিক্স ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে একজন ফিডমিলারের সর্বোচ্চ প্রিমিক্স লাগে বছরে ২০০ মে.টন। কিন্তু এতো অল্প পরিমাণ প্রিমিক্স বিদেশ থেকে আমদানি করা সম্ভব না। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে একজন ফিডমিলার যেকোনো পরিমাণ প্রিমিক্স ক্রয় করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রিমিক্স প্লান্টের মার্কেট খুবই সীমিত। আমি জানি এই ইন্ডাষ্ট্রি করাটা বর্তমানে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আশা করি, ইনশাল্লাহ আমি সফল হবো।
উল্লেখ্য, প্রায় ১০ একর জায়গা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে দেশের প্রথম প্রিমিক্স প্লান্ট। রয়েছে অত্যাধুনিক HPLC ল্যাবরেটরি। ব্যবহার করা হয়েছে বারকোডিং সিস্টেমের সর্বশেষ প্রযুক্তি। প্রিমিক্স প্লান্ট এর জন্য সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে বুহ্লার ইনোভেশন প্রযুক্তি।