নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): আমাদের দরকার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত পুষ্টি। আলু হতে পারে এর অন্যতম উৎস। বিশেষ করে বারি আলু-৭২ এ রয়েছে বাড়তি গুণ। ক্যারোটিনসমৃদ্ধ এ জাতের আলুফসলে রোগ ব্যাধি কম হয়। রঙিন হওয়ায় দেখতে চমৎকার। বাজারে চাহিদা বেশি। লবণ এবং তাপসহিষ্ণু। তাই দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বেশ উপযোগি। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) বরিশালের রহমতপুরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পরিবর্তনশীল আবহাওয়া উপযোগি আলুজাতের মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম এসব কথা বলেন।
কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবুগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার।
অন্যান্য অতিথির মধ্যে ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজিউদ্দিন, শেখ সামসুল আলম ক্বমার, নাসরিন জাহান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এ মাঠদিবসে এ অঞ্চলে চাষ উপযোগি ৫ টি জাতের আলু আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়। এগুলো হলো: বারি আলু-৩৫, বারি আলু-৩৭, বারি আলু-৪০, বারি আলু-৭২ এবং বারি আলু-৭৩।