নিজস্ব প্রতিবেদক : পোলট্রি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সেক্টরের সাথে যারা জড়িত তারা মোটামুটি সবাই viv এর ব্যাপারে কমবেশি জানেন। বাংলাদেশের পোলট্রি ও মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত প্রচুর পেশাজীবি উক্ত কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। এক বছর অন্তর অন্তর ব্যাংককে আয়োজিত হওয়া কনফারেন্সটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পেশাজীবী অংশগ্রহণ করে থাকেন বলে ধারনা করা হয়।
প্রাণিসম্পদ ব্যবসার ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডের বিশ্বব্যাপী সুনাম রয়েছে। ১৯৬০ সনের দিকে নেদারল্যান্ডের কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলো দুধ ও গরুর মাংস উৎপাদনকে সে সময় দেশটিকে বিশ্বব্যাপী একটি নেতৃত্ব স্থানে নিয়ে যায় যা এখনো বিদ্যমান। ডাচ ফিড ইন্ডাস্ট্রি এবং সেদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় ১৯৭০ সনে একটি শূকর মেলার আয়োজন করে। ইউরোপে যে কয়টি সেরা কনফারেন্স হয় তার মধ্যে ‘Royal Dutch Jaarbeurs’ অন্যতম। সেখানে আয়োজনটির সাথে নতুন করে পোলট্রি শিল্পকেও সম্পৃক্ত করা হয়।
পর্যায়ক্রমে নেদারল্যান্ডে শুকর ও পোলট্রি শিল্পের ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে পোলট্রি এবং শুকর মেলাকে একত্রিত করে ১৯৭৮ সনে এর নাম দেয়া হয় ‘The Trade Fair for Intensive Animal Farming’ যাকে ডাচ ভাষায় বলা হয় Vakbeurs Intensieve Veehouderij এবং সংক্ষেপে সারাবিশ্বব্যাপী এটি ডাচ ভাষার সংক্ষিপ্ত রূপ viv নামে পরিচিতি লাভ করতে থাকে। ১৯৮৬ সন থেকে এটিকে বিশ্বব্যাপী আরো বেশি সম্পৃক্ত, পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক সুযোগকে আরো বেশি কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে ইউরোপ থেকে এটি viv নামে ব্যাপক প্রচার পেয়ে আসছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এটি প্রথম শুরু হয় ১৯৯৩ সন থেকে।