ঢাকা সংবাদদাতা: দেশের সকল মানুষের জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে শস্য বহুমূখীকরণ,উন্নত ও আধুনিক কলাকৌশল অবলম্বন,বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাত প্রতিস্থাপন জরুরী। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজনযোগ্য প্রতিকূলতা সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসল ও ফসলের জাত আবাদ সম্প্রসারণ করা অপরিহার্য। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষি মন্ত্রণালয় উফশী আউশ ফসল চাষের জন্য দেশের সকল জেলাসমূহের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ,সার,পরিবহন ব্যয় ও আনুসাংগিক সহায়তা প্রদানের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১মার্চ)কৃষিমন্ত্রী ড.মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে খরিপ-১/২০১৯-২০২০ মৌসুমের কৃষি প্রণোদনা প্রদান কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত প্রেসব্রিফিং -এ এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন,বর্তমান খরিপ-১ মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৪টি জেলায় ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ২ শত ৭২৬ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৪০ কোটি ১৮ লক্ষ ২০ হাজার ৭ শত ৫০ টাকার বীজ ডিএপি,এমওপি সার,পরিবহন ও আনুসাংগিক ব্যয় প্রদান করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য রয়েছে মোট ৮ শত ৭৫ টাকার প্রণোদনা।
এ কর্মসূচিতে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ২ শত ২৬ বিঘা জমিতে উফশী আউশ চাষ করা সম্ভব হবে। এতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪ শত ৫২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে যার বাজার দর ৫ শত ৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫ শত ৪০ টাকা। এ থেকে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬ শত ৪৩ মেট্রিক টন খড় উৎপাদন হবে যার বাজার দর ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪শত ৬ টাকা। চাল ও খড় উৎপাদন বাবদ আয় হবে ৬ শত ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯ শত ৪৫ টাকা। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এতে নীট আয় হবে ৯৮ কোটি ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ৯ শত ৪৫ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি ১ টাকা খরচ করে আয় হবে ১.২ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় অনুপাত আয় ১:১.২।
প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজামান,অতিরিক্ত সচিববৃন্দ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ব্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।