শুক্রবার , ডিসেম্বর ২৭ ২০২৪

১০ বছরে নদীতে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮ শতাংশ

চাঁদপুর সংবাদদাতা: সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৭৮%। চাঁদপুরসহ দেশের সকল ইলিশের অভয়াশ্রমে অবৈধ জালের মাধ্যমে মৎস্য শিকারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতাসহ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের (BFRI) উদ্যোগে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ইলিশ উৎপাদনবৃদ্ধিতে অভয়াশ্রমের প্রভাব, মজুদনিরুপন, এবং জাটকাসংরক্ষণে গবেষণা অগ্রগতির পর্যালোচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বক্তৃতা করেন।

প্রতিমন্ত্রী খসরু জাটকা ইলিশের পাশাপাশি মা-ইলিশের যথাযথ সংরক্ষণে প্রশাসনসহ জেলেদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, জাটকা ধরা বন্ধের ৮ মাস এবং মা-ইলিশ ধরা বন্ধের ২২দিন জেলেদের খাদ্য সহায়তাসহ বিকল্প করমসংস্থানের ব্যবস্থার পরও ইলিশের ক্ষতির জন্য যারা অবৈধ জাল উৎপাদন করে জেলেদের বিপথে চালায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি  জাল উৎপাদক ও দাদনদারদের খপ্পরে না পড়ার জন্যও জেলেদের প্রতি আহবান জানান।

কর্মশালায় বক্তারা জাটকা ইলিশের যথাযথ বৃদ্ধি ও মা-ইলিশের প্রজননের স্বার্থে দেশের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার বেষ্টিত ৬টি অভয়াশ্রম রক্ষার প্রয়োজনের ওপর সবিশেষ জোর দিয়েছেন। তারা বলেন, এসব প্রধান প্রজননকেন্দ্রের ৫টিতে মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস এবং আন্ধারমানিকের অভয়াশ্রমে নভেম্ভর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ মাছ জাটকাসহ সকলপ্রকার মাছ ধরা বন্ধ করার ফলে ইলিশের গড় আকার ও ওজনসহ প্রাকৃতিক প্রজননহার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এখন বড় সাইজের ইলিশ পাচ্ছি।

বক্তারা আরো বলেন, ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদীতেই ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে। ইলিশের বংশরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য প্রজননক্ষেত্রসহ জাটকার বিচরণক্ষেত্র রক্ষা এবং সকল অবৈধ জালের কারখানা বন্ধ করতে হবে। জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে এসব সাফল্য ধরে রাখা যাবে না বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

অনুষ্ঠানে ২টি মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক অফিসার ড. আশরাফুল আলম ও মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার মনোয়ার হোসেন। মৎস্য গবেষণা ইনস্টি্টিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল ও মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক বক্তৃতা করেন

This post has already been read 3329 times!

Check Also

হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, হাওরে ইজারা …