ঢাকা সংবাদদাতা: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের ধীরগতিসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এম.পি ।
রবিবার (২৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP) -এর মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ও গতি অনেক বেশি এবং তারা একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরো বরাদ্দের জন্য চাপ দেন, সেক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ফেরত দেয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থায় নবনিয়োগকৃত বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ঢাকা এবং নিজ জেলা-উপজেলাসদরের বাইরে পোস্টিং দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। তিনি শুধুমাত্র দক্ষ ও সৎ সিনিয়র কর্মকর্তাদের ঢাকার প্রধান কার্যালয়সহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার তদবিরকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্যও তিনি সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি মাঠ পর্যায়ের অফিসারদের অফিসে নিয়মিত উপস্থিতিসহ গাফলতিরোধে তাদের খোঁজখবর নিতে মোবাইলের বদলে ল্যান্ডফোনে যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে ৪ মাস পূর্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরকে ২য়, ৩য় ও চতুর্থশ্রেণির শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দেয়ার পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করায় সভায় ক্ষোভ করেন তিনি।
সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রায় ৩৪১ কোটি টাকার ১৬টি , বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩১ কোটি টাকার ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ১টিসহ মোট ২৩ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির মূল্যায়ন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩টি অধিদপ্তর ও সংস্থার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যার জন্য বরাদ্দ আছে প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে চলতি ফেব্রুয়ারি-১৯ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা। বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৭টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৯৮৯ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিলো সমপরিমাণ অর্থাৎ ৩৪৮ কোটি টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরে প্রাণি উপখাতের ২৩টি প্রকলের জন্য মোট বরাদ্দ প্রায় ৩৭৯ কোটি টাকা এবং এখাতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬৯ কোটি টাকা। আর বিগত অর্থবছরে এই উপখাতের ২১টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিলো প্রায় ৫০৩ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিলো মোট প্রায় ২০০ কোটি টাকা।