মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুরে ২০১৮-২০১৯ চলতি বর্ষা মৌসুমে ১ লাখ ৫০ হাজার ঔষধি, বনজ ও ফলজ বৃক্ষরোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার বাগান সৃজন করার কোনো কর্মসূচি থাকছে না, এমনটি জানিয়েছেন চাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম।
জানা যায়, উম্মুক্তভাবে প্রতিটি ৫ টাকা করে বিক্রির উদ্দেশ্যে জেলা বনবিভাগে ১ লাখ ৫০ হাজার বনজ, ঔষধি ও ফলজ বৃক্ষ স্ব স্ব উপজেলা বন বিভাগে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৭ হাজার, হাইমচরে ৫ হাজার ৫শ’, হাজীগঞ্জে ৬ হাজার, মতলব দক্ষিণে ৫ হাজার, ফরিদগঞ্জে ৫ হাজার ও শাহারাস্তিতে ৫ হাজার বৃক্ষ বিতরণ করা হবে।
চাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তাজুল ইসলাম জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশি করে আমাদের গাছ লাগানো উচিত। জীবন ধারণের জন্য গাছের ভূমিকা অপরিসীম। গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ সৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, মহামারি, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে গাছের ভূমিকা অপরিহার্য। গাছের অর্থনৈতিক মূল্যও অনেক।
১৯৯০ সাল থেকেই একটি শ্লোগান রয়েছে ‘‘একটি গাছ কাটলে ৫টি গাছ রোপণ করতে হবে’’। ফলে মানুষের ভেতর গাছ রোপণের মানসিকতা অতীতের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর একটি প্রশ্নের জবাবে বন কর্মকর্তা বলেন, ‘অবৈধভাবে গড়ে উঠা স’মিলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাদেরকে লাইসেন্স গ্রহণে চিঠি দেয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো স’মিল মালিককে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়া মাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কোনো ভাবেই বন বিভাগের অনুমতি ব্যতীত বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সুযোগ এখন আর নেই।
এদিকে চাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তাজুল ইসলাম আরো জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন, বন ও কৃষি বিভাগের যৌথ আয়োজনে সপ্তাহব্যাপি চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ ২০১৯’ এর ব্যাপারে এখনো কোনো চিঠি আসেনি বা পাই নি।