তাজুল ইসলাম (সিকৃবি প্রতিনিধি) : বটফ্লাই বা ডাঁশের শূটকীট স্তন্যপায়ী প্রাণী, বিশেষ করে মানুষের ত্বকের নীচে পরজীবী হিসেবে বাস করে ত্বকের ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করে। বিশ্বে এর অনেকগুলো প্রজাতি পাওয়া গেলেও , ৬ টি প্রজাতি লাইভস্টক ক্ষতিসাধন করে। উল্লেখযোগ্য প্রজাতি গুলো হলো- Hypoderma bovis, H. lineatum, Oestrus ovis, and Gasterophilus intestinalis. Human Botfly
বট ফ্লাই জীবনচক্র, প্রথমে একটি স্ত্রী হিউমান বটফ্লাই বা Dermatobia hominis উড়তে থাকা কোন মশাকে পাকড়াও করে নেয়, তারপর সে অবস্থায় মশার শরীরে ডিম পাড়ে এবং উড়ে চলে যায়। মশা রক্ত খাওয়ার জন্য মানুষের শরীরে বসলে নিজের অজান্তেই বটফ্লাই এর ডিম বা লার্ভা মানুষের চামড়ায় পৌছে দেয়। এরপর বটফ্লাই লার্ভা চামড়ার নিচে গর্ত করে ঢুকে পড়ে আর মানুষের কোষ খেয়ে বড় হতে থাকে। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ দিনেরও বেশি সময় বাস করে। পরিণত হয়ে গেলে সেগুলো সেখান থেকে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসে।
এরা একসাথে সর্বোচ্চ ৩০টির বেশি ডিম পাড়ে, যা থেকে পরবর্তীকালে লার্ভা সৃষ্টি হয় এবং, চামড়ার নিচে বসবাস শুরু করে। তবে কয়েক প্রজাতির ডাঁশের লার্ভা অন্ত্রের মধ্যেও বড় হয়। তবে ছাগল, ভেড়া, এবং গরুর মতো প্রাণীর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো একটু জটিল হয় যখন ডাঁশ গিয়ে এদের নাকের ভেতরে ডিম পাড়ে। এই ৬০ দিনের ভেতরেই এ শূটকীটগুলো ত্বকের টিস্যুগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।
সাধারণত এরা ত্বকে মায়াসিস করে থাকে। যার ফলে সেকেন্ডারি ফ্লাই বা জীবাণু আক্রমণ করে। তাছাড়া কিছু প্রজাতি ডাসফ্লাই শ্বাসতন্ত্রে ক্ষতিসাধন করে এবং শ্বাসকার্যে বাঁধা সৃষ্টি করে। এরা ফসলের তেমন ক্ষতি না করলেও লাইভস্টকে ভূমিকা পালন করে। এর আক্রমণে খামারের উৎপাদন কমে যায়, প্রাণীর ওজন কমতে থাকে, পেটে আলসারসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, Human Botfly মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা ,আর্জেন্টিনা, চিলি এবং মেক্সিকো দেশগুলো সর্বপ্রথম পাওয়া যায়।