বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

পোলট্রিতে বিভ্রান্তিকর প্রচারনায় বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে জনগণের পুষ্টি চাহিদা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: পোল্ট্রি মুরগির খাদ্যের বিষয়ে নানা রকম বিভ্রান্তিকর সংবাদের কারণে দেশের সাধারণ মানুষের প্রাণিজ আমিষের সিংহভাগ যোগানদাতা ব্রয়লার পোল্ট্রি মাংস ও ডিমের বিষয়ে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে দেশের সাধারণ জনগনের পুষ্টি গ্রহণে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দীন শনিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রামে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে পোল্ট্রি খাদ্যের মান যাচাইয়ে প্রাণিসম্পদ অফিস ও ক্যাব যৌথ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের সময় এসব কথা বলেন।

কাজী ওয়াসি উদ্দীন বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্ণ হলেও নিরাপদ খাদ্যের বেলায় প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে আছে। অন্যদিকে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে মানুষের স্বাভাবিক খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি পুরণ হচ্ছে না। কারণ, পুষ্টির ঘাটতি হলে শিশুর শারিরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যা কর্মক্ষম জাতি গঠনে বড় অন্তরায়।

পর্যবেক্ষন কালে অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দীন সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ক্যাব ও প্রাণী সম্পদ অফিসের যৌথ মনিটিরিং কার্যক্রম জোরদার করার জন্য আহবান জানান। একই সাথে সাধারণ জনগণের মাঝে প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরার আহবান জানান।

ক্যাব ও প্রাণিসম্পদ অফিস কর্তৃক যৌথ মনিটরিং এর অংশ হিসেবে ওইদিন চট্টগ্রামের মিরেরসরাই উপজেলার মা-মনি পোল্ট্রি, ফাতেমা এগ্রো ডেইরী ফার্মসহ বেশ কয়েকটি খামার সরেজমিনে পরির্দশন করা হয়। পোল্ট্রি ফিডের নমুনা সংগ্রহকালে পরির্দশন টিমের নেতৃতৃ প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দীন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. ফরহাদ হাসেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আকতার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার।

পরিদর্শন টিমে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস.এম নাজের হোসাইন, ক্যাব পাঁচলাইশের সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব আইবিপি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা জেড এইচ শিহাব প্রমুখ। ইউকেএইড, বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় প্রকাশ প্রকল্পের কারিগরী সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে খুচরা ও খামার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ পরীক্ষাগারে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পশুসম্পদ কেন্দ্রিয় পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হবে। পরীক্ষার ফলাফল আবার জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, পোল্ট্রির ফিডের গুনগতমান যাচাই করার জন্য সরেজমিনে ব্রয়লার পোল্ট্রির খামার, খুচরা খাদ্য ও ওষুধ বিক্রেতাদের দোকান পরিদর্শনের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রাণিসম্পাদ অফিস ও ক্যাব যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়।

This post has already been read 5373 times!

Check Also

ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পাবনা সংবাদদাতা: ডিমের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যস্বত্বভোগীরা বড় সমস্যা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা …