ঢাকা সংবাদদাতা: বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত পোল্ট্রি শিল্প। এটি কৃষি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপখাত। বর্তমানে একটি বৃহৎ শিল্প। মেধাবী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই শিল্প। এই শিল্পের বিকাশে সরকারের যা যা করণিয় সব করবে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি’র সাথে সচিবালয় তার অফিসকক্ষে পোল্ট্রি সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের। এ শিল্প খাতে প্রায় এক কোটি জনশক্তির মধ্যে ৪০শতাংশ নারী রয়েছে। নিরাপদ মুরগি ও ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রফতানি বাড়াতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ শিল্পের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে।
দেশে পোল্ট্রি ফিডের বার্ষিক উৎপাদন ২৭ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ফিড মিলে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ২৫ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন এবং লোকাল উৎপাদন প্রায় ১ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান বাজারে মুরগির মাংস ও ডিম সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। আর ট্যানারির বর্জ্য থেকে পোল্ট্রি শিল্পের খাবার তৈরী করা খবর একেবারেই ভিত্তিহীন। দেশে ট্যানারি শিল্পে উৎপাদিত বর্জ্য পোল্ট্রি শিল্পের মোট খাদ্য চাহিদার দেড় শতাংশ। ট্যানারি শিল্পের বর্জ্য থেকে কখনোই খাদ্য তৈরী করা হয়নি বলেন নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ তাদের এই শিল্পের জন্য কিছু দাবি উত্থাপন করেন। মন্ত্রী তাদের সকল দাবি মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং তাদের সাথে একমত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এর সভাপতি মসিউর রহমান -এর নেতৃত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি শামসুল আরফিন খালেদ, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারি জেনারেল, বির্ডাস -এর জেনারেল সেক্রেটারি, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধিবৃন্দ।