ঢাকা সংবাদদাতা: শক্তিই জাতির প্রাণ শক্তি। যুবরাই হচ্ছে কর্মের হাতিয়ার। নেতৃত্ব, উদ্যোগ ও উদ্ভাবন- সবদিক থেকেই তরুণরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পেশায় তরুণ সমাজ অনন্য ভূমিকা পালন করছে। যুবদের জাগরণ ও উন্নয়নের জন্য কাজের সুযোগ দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুবদের কর্মমূখী করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। কর্মক্ষম যুব জনগোষ্ঠী বেশি থাকলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল থাকে, যাকে বলা হয় জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড)। যুবদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি উদ্যোগী। এ জন্য সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা উভয় খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আজকের যুবরাই গড়বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।
রবিবার (৭ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পিকেএসএফ আয়োজিত যুব সম্মেলন-২০১৯ এর সেমিনারে এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন; যুবরা লড়বে ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশের জন্য। বর্তমান সরকার স্বনির্ভর প্রত্যয়ে, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মনস্ক প্রজন্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে । দেশের কর্মসংস্থনের নতুন নতুন চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি যুগোপযোগী জাতীয় যুবনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০০৩ সালের যুবনীতি পরিবর্তন করে বর্তমান সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে একটি জাতীয় যুবনীতি, ২০১৭ সালে গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন; বাংলাদেশের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নে অনেক সম্ভাবনা বা সুযোগও রয়েছে। কারণ, আমাদের রয়েছে মূল্যবান মানবসম্পদ। মানবসম্পদের মধ্যে সবচেয়ে কর্মঠ, সৃজনশীল, সক্রিয় এবং মূল্যবান অংশই হলো যুব সম্পদ। বাংলাদেশ এখন মানব সম্পদের শ্রেষ্ঠ এই অংশের সোনালি সময় পার করছে। যারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের প্রধান পুঁজি হিসেবে গণ্য হতে পারে। এই যুব সম্পদকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখা দিয়েছে। তাই এদের যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সম্পদে পরিণত করতে পারার ওপর নির্ভর করছে আমাদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন। যে দেশের যুব সম্প্রদায় অলস সে দেশের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়।
পিকেএসএফ -এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ -এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আসাদুল ইসলাম, সিনিয়র সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও মো. আব্দুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ।