ঢাকা সংবাদদাতা: ঘূর্ণি ঝড় ‘ফণি’র কারণে দেশের প্রায় ৩৫টি জেলার ২০৯টি উপজেলায় বোরো ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট, পান সহ প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধানের জমি ৫৫ হাজার ৬ শত ৯ হেক্টর, সবজির জমি ৩ হাজার ৬ শত ৬০ হেক্টর, ভুট্টার জমি ৬ শত ৭৭ হেক্টর, পাটের জমি ২ হাজার ৩ শত ৮২ হেক্টর, পান ৭ শত ৩৫ হেক্টর। আক্রান্ত জেলার ধানের ক্ষেত্রে ২ %, সবজির ক্ষেত্রে ৯%, ভুট্টার ক্ষেত্রে ১৫% ক্ষতির, পাটের ৫% এবং পানের ক্ষেত্রে ১% ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। মোট প্রাক্কলিত আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ ২ হাজার ৫ শত টাকা।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, এমপি মন্ত্রণালয় এর সভাকক্ষে ঘূর্নিঝড় ‘ফণি’র কারণে আক্রান্ত ফসলি জমি,সম্ভাব্য ক্ষতি ও গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আ. রাজ্জাক জানান, কর্মকর্তাগণ মাঠে কৃষকদের শতকরা ৮০ ভাগ পরিপক্ক ধান কেটে নেয়া ও রবি ভুট্টা ফসল সংগ্রহ এবং খরিপ-১ মৌসুমের বপন যোগ্য ফসলের বীজ বপন না করার পরামর্শ প্রদান করেছেন। হেলে পড়া পরিপক্ক বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ প্রদান করা হয়। জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আউশ ক্ষেতে গ্যাপ পূরণের জন্য ঘনগোছা থেকে চারা উত্তোলন করে ফাঁকা জায়গায় রোপনের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সবজি ক্ষেতের জমে থাকা পানি দ্রুত নিস্কাশনের পরামর্শ দেয়া হয়। নষ্ট হওয়া গাছের গোড়ায় নতুন চারা লাগিয়ে শূন্য স্থান পূরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কর্মসূচি নেয়া হবে। পরবর্তী খরিপ ২০১৯-২০ মৌসুমে রোপা আমন ধানের বীজ/চারা উৎপাদন, বিতরণ ও মাসকলাই বীজ বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রবি-২০১৯-২০ মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার বিতরণের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচী নেয়া হবে। এছাড়াও শীতকালীন সব্জী চাষের জন্য পারিবারিক পুষ্টির অংশ হিসেবে বিনামূল্যে বিভিন্ন সব্জী বীজ বিতরণ করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের র্ঊব্ধতন র্কমর্কতাবৃন্দ।