মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর প্রতিনিধি): চাঁদপুর মেঘনায় টাস্কফোর্সের অভিযানে জাটকা শিকারি ৬৩ নৌকা জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে ৫টি অবৈধ মাছের আড়ত পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর অন্তত ১০টি স্পটে অভিযান পরিচালিত হয়। জেলেরা পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষায় ৭ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করা হয়। জেলেদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মাথায় ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
অভিযানে পদ্মা ও মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার খ্যাত পর্যটন স্পট, গোয়ালিয়র চর, রাজ রাজেস্বর ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী এলাকা, শরীয়তপুর সীমান্ত সংলগ্ন কাটাখালি, সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরি এলাকা, আনন্দবাজার, শহরের টিলাবাড়ি এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময়ে ৬৩ টি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা আটক করে ব্যবহার অনুপযোগী করা হয়, ৫ টি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়, পৌনে ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়, ১ মণ ইলিশের পোনা জাটকা আটক করে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এবং ১৭ জন জেলেকে জাটকা ধরার অপরাধে আটক করে মোবাইল কোর্টে ১৩ জনকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও বাকি ৪ জনকে বয়স বিবেচনায় অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল ইসলাম ।
অভিযানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি আবু তাহের, কোস্টগার্ড কমান্ডার আবদুল মালেক, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড এবং নৌ বাহিনীর নাবিকরা।
অভিযান চলাকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজ রাজেশ্বর ইউনিয়নের কাটাখালি ও সাইলুরের ছাই ফ্যাক্টরির কাছে জেলেরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ছোড়া ইট পাটকেলে টাস্কফোর্সের কয়েকজন আহত হয়। এ সময়ে আত্মরক্ষার্থে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১ রাউন্ড ব্ল্যাংক ফায়ার করে।