ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে ৩০ ফুট বেড়িবাঁধ পশুর নদের প্রবল জোয়ারে ভেঙে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বানিশান্তা গ্রামের প্রায় ২৫০ ঘরবাড়ি সম্পর্ণ প্লাবিত হয়েছে। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বানিশান্তা বাজারের কয়েকটি দোকান ও দোকানে থাকা মুল্যবান দ্রব্যাদি ও ডুবে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের। দাকোপ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাটি খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৩ নম্বর পোল্ডারের আওতায়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ওই পোল্ডারে বেড়িবাঁধ ও অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) কাজ চলছে।
চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ফার্ষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো অব হেনান ওয়াটার কনজারভেন্সি’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই প্রকল্পের কাজগুলো করছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সংস্কার কাজ ধীরগতি ও তাদের গাফিলতির কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে।
বানিশান্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুদেব রায় বলেন, পশুর নদের বানিশান্তা বাজার বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ দিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বলা সত্ত্বেও সংস্কার উদ্যোগ নেয়নি। তিনি বলেন, চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ধীরগতি হলেও ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাটি সংষ্কারের আগ্রহ ছিলো। কিন্তু জায়গাটির কাগজপত্রে সমস্যা হওয়ায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ দেরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বাজারসহ গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে। গ্রাম থেকে পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধ দেওয়া কাজ চলছে। বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি পরিদর্শন করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোকাররম হোসেন, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য রজত কান্তি শীল, ইউপি চেয়ারম্যান সরোজিৎ রায়, আ’লীগ নেতা পরিমল রপ্তান, সঞ্জীব রায়, রতন মণ্ডল ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আলীসহ আরও অনেকে। দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন জানান, বানিশান্তায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর শুনে তিনি সেখানে যান। ওই এলাকা আগে ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো।
তিনি আরো বলেন, এ বাঁধ দ্রুত সংস্কারের জন্য পাউবোর সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে । কিন্তু পাউবো বিষয়টি চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ফার্ষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো অব হেনান ওয়াটার কনজারভেন্সি’ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সঠিক ভাবে কাজ করাতে ব্যার্থ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ।