ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের রূপকল্প ২০২১ এবং উন্নত দেশ রূপায়নে ২০৪১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। দুর্নীতি না হলে আমাদের জিডিপি ২% বাড়তো, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দ্রুত প্রবৃদ্ধি বিশ্বের প্রথম সারিতে অবস্থান পেতো।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এসব কথা বলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু করায় তিনি কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, সরকার বেতন-ভাতা দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়েছেন। তারপরও দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না কেন? আসলে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। চাকুরিজীবি অনেকের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আছে, সামর্থ আছে, প্রয়োজন নেই, তারপরও বিনা প্রয়োজনেই দুর্নীতি করছেন। এটা একটা রোগে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি আমাদের কুরিয়ে কুরিয়ে খাচ্ছে। এর থেকে উত্তরণে নীতি-নৈতিকতা চর্চা, শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে জবাব দিহিতা প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ সবক্ষেত্রে সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতিতে স্বচ্ছতার সাথে কাজ সম্পন্ন করতে পারলেই আমাদের দুর্নীতি বহুলাংশে কমানো সম্ভব।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এছাড়া উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। উদ্বোধনী পর্বে ইউজিসির পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন। কর্মশালার উদ্বোধন পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। কর্মশালার শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম ঘণ্টাব্যাপী পাওয়ার পয়েন্টে শুদ্ধাচার নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। তাঁর উপস্থাপনায় শুদ্ধাচার কী ও তার প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান সরকারের উদ্যোগ, বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ, কলাকৌশল, আইন, বিধিবিধান, অভীষ্ট লক্ষ্য এবং বিশ্ব প্রেক্ষিত তুলে ধরেন।
পরে অন্যান্য রিসোর্স পার্সনবৃন্দের মধ্যে বিষয় ভিত্তিক উপস্থাপনা ও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ইউজিসির পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম, ইউজিসির ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট কমিউনিকেশন এন্ড ট্রেনিং ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মাকসুদুর রহমান ভুঁইয়া, কেবিনেট ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি আর এইচ এম আলাওল কবীর, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
উক্ত কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন,ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।