ফকির শহিদুলইসলাম(খুলনা): স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখা এবং পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন শহর বিনির্মাণের জন্য সেবামূলক সংস্থাগুলিকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে নাগরিক সেবা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। নগর জীবনে সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি টেকসই স্যানিটেশন ও মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নগরবাসীর চাহিদা পূরণ এবং সহস্রাব্ধের লক্ষমাত্রা অর্জনে কেসিসি, কেডিএ ও খুলনা ওয়াস সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম অন সাসটেইন্যাবল আরবান ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন’’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি’র ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম মাহমুদ হাসান, ঢাকাস্থ সুইডেন এ্যাম্বাসির পরিবেশ এবং ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক উপদেষ্টা মো. মাহবুবুর রহমান ও খুলনা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. ডি কামাল উদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
বিষয়ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন, ওয়াটার এইড-সুইডেন –এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্টিনা নী, পানি বিশেষজ্ঞ ডা. লিয়াকত আলী ও ওয়াটার এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. খায়রুল ইসলাম। সুইডেন ও কম্বোডিয়ায় ‘সাসটেইন্যাবল আরবান ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন (সোয়াস)’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করায় সেমিনারে ৫ জন গবেষককে সনদপত্র প্রদান করা হয়। সনদপত্র প্রাপ্তরা হলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানী, খুলনা ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সিয়াম-এর নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিনিয়র ম্যানেজার সনজিত সরকার। কেসিসি’র সচিব মো. আজমুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. বিল্লাল হোসেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।