নিজস্ব প্রতিবেদক: ফসলে পরিবেশবান্ধব ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমানো সম্ভব। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত “কৃষিতে ন্যানো টেকনলজি ব্যবহার” বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার (BAAG) সভাপতি ভাষণে ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা বলেন, আমাদের দেশে ফসল উৎপাদনে দেশে প্রচুর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা আমাদের জীববৈচিত্র্য ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ। পরিবেশবান্ধব ন্যানো টেকনলজি ব্যবহার করে কীটনাশকের সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমাদের প্রধান প্রধান ফসলের রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনের জন্য ন্যানো টেকনলজির প্রযুক্তি বের করতে হবে যাতে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় এবং নিরাপদ খাদ্য তৈরি করা যায়। সেমিনারে প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার (BAAG) সাধারণ সম্পাদক ড. আমিন উদ্দিন মৃধা বলেন, বাংলাদেশের কৃষিজাত শস্যের রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনে ন্যানো টেকনলজি ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
সেমিনারে তিনি তাঁর গবেষণার ফলাফলের কিছু নমুনা প্রদর্শণ করেন। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব যা কৃষিজাত শস্যের রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করে নিরাপদ খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে বলে তিনি জানান। সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. কবির একরামুল হক ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েজ কবির কৃষিতে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসমূহকে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. এম, আনোয়ারুল কাদের শেখ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে দেশের বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তেরর কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচারের ফেলোগণসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।