ঢাকা সংবাদদাতা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈল্পিক ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-ভাবনা দিয়ে দেশ গড়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্থপতি নন, তিনি বাংলাদেশ নির্মাণের প্রকৌশলীও। এখন আপনাদের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর চিন্তার আলোকে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম অডিটরিয়ামে টাঙ্গাইলের জেলার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এম.পি) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে আমরা সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পেট ভরে খাওয়াতে পরিনি। এখন আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। আমাদের দর্শন ২০৪১ সালের আগে আধুণিক, তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন উন্নত বাংলাদেশের। আগামী দুই এক বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হার হবে ডাবল ডিজিটের, আমরা অন্যের সাথে তাল মিলিয়ে নয় তাদের থেকে দ্রুত এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, দ্রুত শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার ফলে বনাঞ্চল, কৃষি জমি কমে গেছে। সরকার একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে। এর বাইরে শিল্প-কারখানা হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা সচেতন।
’’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এখানে কোটি কোটি তারুণ প্রজন্ম দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা লালন করে। এই দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। তরুণ প্রজন্ম নিজ নিজ জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু করতে উদ্যমী হয়। এটি অনেক বড় আশার দিক। এই তরুণ প্রজন্মই আমাদের শক্তি। আমাদের স্বপ্ন। স্বপ্নিল দেশ গড়তে ওদের জেগে ওঠা খুবই জরুরি। সব রকম বিপদ আপদ, দৈন্য দুর্দশাকে উপড়ে ফেলতে হবে। শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিজেদের উপস্থাপন করতে হবে। শক্ত হাতে গড়তে হবে তারুণ্যের পথ।
কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, টাঙ্গাইলকেও আমাদের দেওয়ার অনেক কিছু আছে। আমরা আটজন এম.পি মিলে টাঙ্গাইলকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত করে একটি আধুনিক টাঙ্গাইলে রূপান্তর করবো। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইকোনোমিক জোন হবে। আমরা টাঙ্গাইলেও ইকোনোমিক জোন করবো। সেখানে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে এবং আমাদের টাঙ্গাইলের ছেলে-মেয়েরা চাকরি পাবে।