চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ দেশের এমন একটি যুগান্তকারী আইন যেখানে একজন ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রতারিত হলে সরাসরি অতি সহজে বিনা কোর্ট ফি. ও অ্যাডভোকেট নিযুক্ত ছাড়াই মোবাইল, ফেসবুক, ইন্টারনেট, চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। অভিযোগ প্রমানিত হলে জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পাবেন। প্রতি সপ্তাহে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রিয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ে গণশুণাণী ও মাঠ পর্যায়ে বাজার তদারকির মাধ্যমে অভিযোগগুলি দ্রুত নিস্পত্তি করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ জনগণের মাঝে এ বিষয়ে পরিস্কার তথ্য না থাকায় জনগণ ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সরকারের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ থেকে তেমন সুফল পাচ্ছে না। তাই সাধারণ জনগণ ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণে এই যুগান্তকারী আইন ও সুযোগ সম্পর্কে সর্ব সাধারণকে জানানোর জন্য ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্ঠির উদ্যোগ নেবার আহবান জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল)নগরীর জামালখানস্থ আমেরিকান কর্ণার মিলনায়তনে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় অভিযোগ দাখিল ও নিস্পত্তি নিয়ে মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত অভিমত ব্যাক্ত করা হয়। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও আমেরিকান কর্ণার চট্টগ্রামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জমান। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। আলোচনায় আরো অংশ গ্রহণ করেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু, আমেরিকান কর্নারের সহকারী সমন্বয়কারী রুমা দাশ, ক্যাব দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগর যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব সদরঘাটের শাহীন চৌধুরী, পাঁচলাইশের সেলিম জাহাঙ্গীর, চান্দগাঁও এর সেলিম সাজ্জাদ, উন্নয়ন কর্মী নার্গিস চৌধুরী প্রমুখ। সভায় আরও বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণসহ জনভোগান্তি নিরসনে অনেকগুলি উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো কাঠামো থাকলেও ভোক্তারা ঘুমন্ত ও নিস্কৃয় থাকায় এ সমস্ত সরকারী উদ্যোগগুলির সুফল জনগন পাচ্ছে না। এছাড়াও জাতি হিসাবে অনেকের ধারনা অভিযোগ করলে প্রতিকার পাওয়া যাবে না। সুশাসন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অধিকার ভোগ করার পাশাপাশি নাগরিদেরকে নিজেদের দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য সম্পর্কে জাগ্রত করতে হবে। কারণ নাগরিক দায়িত্ববোধ মানুষের দেশ প্রেমকে ত্বরান্বিত করে। আর নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা ছাড়া জাতিকে জাগানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করা হয়। আর এ কাজে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। মতবিনিময় সভায় নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়,