রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে -কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা সংবাদদাতা:  কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। সরকার কৃষকের পাশে আছে বলে বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। সোমবার (২০ মে) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়ে) এর আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এই জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তূকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিলো এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকিকরণে ব্যবহৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত  দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি। ধানের দামের বিষয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।  দ্রুতই এর সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সব বাস্তবায়ন করা হবে।

কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। সরকারি গাড়ী প্রযুক্তি হস্তান্তারের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানান কৃষি মন্ত্রী। ৮৮টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ীর চাবি তুলে দেন তিনি। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০২২ মেয়াদি প্রকল্পটি ৩ শ’ ১৫ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পুর্ণ হলে এর মাধ্যমে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে ।

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।

 

This post has already been read 2590 times!

Check Also

বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন,  বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন …