ঢাকা সংবাদদাতা: প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মঙ্গল, টেকসই প্রভাব, প্রত্যাশা ও ফলাফল বিবেচনা করে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি কৃষি প্রকল্প, একটি চিন্তা, অনেক স্বপ্ন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। মঙ্গলবার (২৮ মে) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে এটাই তার প্রথম সভা। কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ডালের উৎপাদন ভালো হয়েছে, বিশেষ করে পটুয়াখালী জেলায় মোট জাতীয় উৎপাদনের তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য সারা দেশ ব্যাপী বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া প্রকল্প গ্রহণের ফলে কি কি পরিবর্তন এসেছে এবং উৎপাদনের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে হবে। যে কারণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা কতোটুকু পুরণ হয়েছে এবং আরো কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত তা উল্লেখ করতে হবে।
তাছাড়া বছর ব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪শ’ কেজি কেসুনাট বীজ আমদানির জন্য ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত এসব দেশ থেকে ভালো বীজ সংগ্রহের কথা বলেন মন্ত্রী। সরাসরি কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোনো প্রকল্প যেনো গ্রহণ করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তাগিদ দেন কৃষি মন্ত্রী। উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২ টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮ শ’ ১২৬ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ১ হাজার ৩ শ’ ৫৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩৩ টি প্রকল্পের অনুকুলে মোট ১হাজার ৪ শ’ ৫০ দশমিক ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এপ্রিল/২০১৯ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯ শ’ ৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকা। এপ্রিল/২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্পের মোট জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেন কৃষিমন্ত্রী।