সোমবার , নভেম্বর ২৫ ২০২৪

গবাদিপশুর জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণের আহবান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার (১৯ জুন) ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (BARC) মিলনায়তনে আয়োজিত “Animal Identification and Recording: A Way for Development of Livestock in Bangladesh” শীর্ষক সেমিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, এম.পি প্রাণিসম্পদ খাতের সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে দেশের গবাদিপশুর জেনেটিক পরিচয় চিহ্নিতকরণ এবং ডাটাবেজ সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এ ব্যাপারে বিদেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, পশুস্বাস্থ্য এবং নিরাপদ গবাদিপশুর মাংস ও দুধ বৃদ্ধির প্রয়োজনে তারা পশুদের নির্ভুল জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ করে এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। আমাদেরও সেপথে যাওয়া ব্যতীত গত্যন্তর নেই। তিনি দেশের মানুষের স্বার্থে নিরাপদ আমিষ উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে বিদেশের বাজারের হালাল মাংসের ব্যাপক চাহিদার কথা উল্লেখ করেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহকারি পরিচালক ড. বজলুর রহমান এবং পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক ভূঁইয়া ও মহাখালীস্থ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আইনুল হক।

বক্তারা দেশের ক্রমবর্ধমান প্রাণিসম্পদের লাগসই প্রযুক্তি আবিষ্কারের পাশাপাশি দেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের খামারিদের নিয়ে সমন্বিত কার্যক্রমের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। তারাও গবাদিপশুর জেনেটিক পরিচয় চিহ্নিতকরনসহ তাদের আধুনিক ডাটাবেজ সংরক্ষণে বিদেশিদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আহবান জানান। এ কাজের সফলতার জন্য তারা দক্ষ জনবল সৃষ্টির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন ও কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্পের পিডি ড. বেলাল হোসেন বক্তৃতা করেন।

This post has already been read 3547 times!

Check Also

ফিড নিরাপদ না থাকলে আমাদের শরীরও নিরাপদ থাকবেনা -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাকৃবি (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: ফিডের জন্য অনেক ইনগ্রেডিয়েন্টস আমদানি করতে হয়। ফিড যদি নিরাপদ না হয় …