রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪

চট্টগ্রামের সুপার শপগুলোতে ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি সরবরাহের উদ্যোগ

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: বর্তমানে দেশের অধিকাংশ স্থানে যত্রতত্র, অপরিস্কার, অপরিছন্ন স্থানে মুরগি জবাই করে ভোক্তার কাছে মুরগি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন মুরগির খামারে উৎপাদিত মুরগিগুলিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারও নিয়ন্ত্রিত নয়। সে কারণে বিভিন্ন রোগ জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা যেরকম দেখা দেয়, একই সাথে নিরাপদ মুরগি প্রাপ্তি হুমকিতে পড়ে। আবার সুপার শপগুলো তাদের ভেন্ডরদের মাধ্যমে এ সমস্ত উৎস থেকে মুরগি কিনে থাকেন।

সে কারণে বাজারে সরবরাহকৃত অনেক মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত কিনা তা জানা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। তাই জনস্বার্থে ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ ব্রয়লার মুরগির মাংশ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে উৎসস্থল মুরগির খামার থেকে গৃহিনীর রান্নায় পরিবেশন পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্যের অনুসরনীয় নিয়মাবলী কঠোর ভাবে মেনে চলার উপর যথাযথ গুরুত্বআরোপ করতে হবে। সুপার শপগুলোতে প্রাণিসম্পদ অফিসের সনদপ্রাপ্ত, মান যাচাইকৃত, যথাযথ মান পরীক্ষা নিশ্চিত করে বাজারজাতকৃত মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রেসড (প্রক্রিয়াজাতকৃত) ব্রয়লার মুরগি বাজারজাতকরণের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে। এ লক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সুপারশপ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুরগি উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান সিপি বাংলাদেশ -এর সাথে সুপার শপ, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও ক্যাব প্রতিনিধি সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নগরীর খুলসীতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সাথে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসী সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম। আলোচনায় অংশ নেন- ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, থানা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিয়া আকতার, ভেটেরিনারী সার্জন জয়িতা বসু, ক্যাব দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, সিপি বাংলাদেশ’র মো. ওয়ালিউর রহমান, মিনা বাজারের মো. রিপন, আগোরা’র আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বপ্নের ওয়াহিদ আফসার, বাস্কেট -এর মোরশেদুল করিম খান, খুলসী মার্টের তানজীব হোসাইন, ক্যাব পাঁচলাইশের সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, সেলিম সাজ্জাদ প্রমুখ।

সভায় সিপির ত্রিশালে খামার পরিদর্শনের জন্য প্রাণিসম্পদ অফিস, জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ক্যাব প্রতিনিধি কর্তৃক যৌথ পরির্দশন, ভোক্তাদের কাছে হালাল উপায়ে জাবাই ও যথাযথ মান অনুসরণের মাধ্যমে সরবরাহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানানো হয়।

This post has already been read 3886 times!

Check Also

সাড়ে ৬ টাকা দরে ভারতীয় ডিম এলো বাংলাদেশে!

এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ডিম আমদানির অনুমতির পর চতুর্থ চালানে এবার ভারত থেকে ডিম আমদানি হলো সাড়ে …