ঢাকা সংবাদদাতা: কৃষির বিষয়ক যে কোনো ধরনের তথ্য কৃষকদের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে। তাহলে কৃষক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। বন্যা, খরা ও জলোচ্ছাসে আগাম সতর্কীকরণ বার্তাতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার জন্য এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদেরকে কৃষির তথ্য দিয়ে কৃষকদেরকে আপডেট করতে হবে। কৃষক সচেতন হবে এবং তারা ক্ষতির মধ্যে পড়বে না।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) -এর থ্রিডি হলে প্রকল্পের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি (বামিস) পোর্টাল উদ্বোধন’ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।
আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। ১৯৬০ সাল হতে শুরু করে ১৯৭০, ১৯৮৬, ১৯৯১, ২০০৭, ২০০৯ সালসহ এখন প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশে আঘাত হানছে। দিন দিন আবহাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তেছে। এ ধরনের পরিবর্তনে আমাদের কৃষি সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত কৃষি পরামর্শ সেবা পৌঁছানো পারলে টেকসই কৃষি উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য ও ডিএইর সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম।